তেইশে টেনেছেন ইতি

বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক তারকার আগমন হয়েছে। আবার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার শেষে অনেকে ইতিও টেনেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ২০২৩ সালে সেই প্রস্থানের গল্পই খুঁজেছে খেলা-৭১। চলুন দেখে নেওয়া যাক, ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন কারা। 

ব্যস্ত সূচিতে বাইশ গজের ক্রিকেট গড়িয়েছে পুরো ২০২৩ সাল জুড়ে। এ বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক তারকার আগমন হয়েছে। আবার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার শেষে অনেকে ইতিও টেনেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ২০২৩ সালে সেই প্রস্থানের গল্পই খুঁজেছে খেলা- ৭১। চলুন দেখে নেওয়া যাক, ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন কারা।

  • স্টুয়ার্ট ব্রড  

বিশ্ব ক্রিকেট তাঁকে যেভাবে চিনেছিল, যে কোনো বোলারের জন্য তা বিব্রতকর। ২০০৭ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুবরাজ সিংয়ের কাছে ছয় বলে ৬ ছক্কা হজম করেছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। অনেকেই তখন তাঁর শেষ দেখে ফেলেছিলেন। তবে ব্রড সেদিন হার মানলেও ১৬ বছরের ব্যবধানে ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন একদম রাজকীয়ভাবে। ৬ ছক্কা থেকে ৬০০ উইকেটের কিংবদন্তি হয়েই ক্রিকেটকে গুডবাই বলেছেন ইংলিশ এ পেসার।

১৮ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার শেষে ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওভাল টেস্ট দিয়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দেন স্টুয়ার্ট ব্রড। তবে যখন বিদায় বলছেন, তখন তাঁর সঙ্গী অ্যাশেজে ইংলিশ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ড; ১৫১টি। আর তার কিছুদিন আগে টেস্ট ইতিহাসের পঞ্চম বোলার হিসেবে ৬০০ উইকেটের মাইলফলক টপকান ব্রড।

  • অ্যালেক্স হেলস

২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে পেয়েছিলেন নতুন এক জীবন। ব্যাট হাতে ছুটিয়েছেন চার-ছক্কার ফুলঝুরি। ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে হয়েছেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নও। কিন্তু কে জানত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেটাই তার শেষ ম্যাচ হয়ে থাকবে! বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ৯ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান ইংলিশ ওপেনার অ্যালেক্স হেলস।

মূলত ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে মনোনিবেশ করতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেন এ ওপেনার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ৭০ ওয়ানডেতে ২,৪১৯ রান এবং ৭৫ টি-টোয়েন্টিতে ১৩৮.৩৫ স্ট্রাইক রেটে ২০৭৪ রান করেছেন তিনি।

  • সুনীল নারাইন

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০১৩ সালে, সর্বশেষ ওয়ানডে ২০১৬ আর সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেন ২০১৯-এ। চার বছরের বেশি সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকার পর ২০২৩ সালেই সুনীল নারাইন জানান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আর তিনি খেলবেন না।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নারাইনের শুরুটা ২০১১ সালে। এরপর তিন সংস্করণ মিলিয়ে মোট ১২২টি ম্যাচ খেলেন তিনি। যার মধ্যে টেস্ট ৬টি, ওয়ানডে ৬৫টি এবং টি-টোয়েন্টি ৫১টি। এর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলে ছিলেন নারাইন।

  • মেগ ল্যানিং

চাইলেই আন্তর্জাাতিক ক্যারিয়ারটা আরো দীর্ঘায়িত করতে পারতেন অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেটার। কিন্তু মাত্র ৩১ বছর বয়সেই ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ান এ ক্রিকেটার।

২০১০ সালে ১৮ বছর বয়সে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ল্যানিংয়ের। এ সময় তিনি ১৩২টি টি-টোয়েন্টি, ১০৩টি একদিনের ম্যাচ ও ছয়টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। ২৪১ ম্যাচের ১৮২ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ল্যানিংয়ের অধীনে অস্ট্রেলিয়া টি-টেয়েন্টি ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয় করেছে। এ ছাড়া ২০২২ কমনওয়েলথ গেমস ক্রিকেটেও দেশকে সোনা এনে দেন তিনি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...