ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ডাজ হোয়াট ওয়াজ রিকুইয়ার্ড – ধারাভাষ্যকার গলার সমস্ত জোর এক করে বলে উঠলেন কথাটা। রোনালদো তখন কি এমন করেছেন, সব সময় যা করে এসেছেন সেটার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছেন আরেকবার। পর্তুগালের যখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়েছে তাঁকে তখনই আবির্ভূত হয়েছেন ত্রাতা হয়ে। অন্তিম মুহূর্তে গোল করে রক্ষা করেছেন দলকে।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে শুরুর একাদশে ছিলেন না পর্তুগিজ যুবরাজ; মাঠে যখন নামেন তখন ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল তাঁর দল। কিন্তু যার জীবনটাই ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প, তিনি আর কি এত সহজে হাল ছাড়েন – হাল ছাড়েননি এই তারকাও, ৮৮ মিনিটের মাথায় গোল করে পর্তুগালকে এনে দিয়েছেন মূল্যবান তিন পয়েন্ট।
দ্বিতীয়ার্ধ পুরোটাই অবশ্য ছিল রোনালদোময়; কখনও আক্রমণের কলকাঠি নেড়েছেন, কখনও আবার প্রতিপক্ষকে তাড়া করে বলের দখল ফিরিয়েছেন। ভাগ্য সহায় হলে অবশ্য আগেই গোল পেতে পারতেন তিনি, তাঁর হেডার গোলবারের ভিতরের অংশে লেগে ফিরে আসায় অপেক্ষা বেড়েছিল কেবল। এর আগে আরও একবার তাঁর শট ঠেকিয়ে দিয়েছিল গোলবার!
স্কটিশদের বিপক্ষে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা যে পর্তুগালের খেলার মোমেন্টাম বদলে দিয়েছেন সেটা নিন্দুকও স্বীকার করতে বাধ্য হবেন। অন্য যে কোনো দিনের তুলনায় তিনি ছিলেন বেশি সতেজ, বেশি মনোযোগী – বোধহয় চ্যালেঞ্জটা বেশি থাকায় নিজের সর্বোচ্চ দিতে মুখিয়ে ছিলেন।
এর আগে অবশ্য প্রত্যাবর্তনের কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে দলকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন তিনি। তাছাড়া বারবার যেভাবে বল নিয়ে হানা দিয়েছিলেন ইউনাইটেড তারকা তাতে তাঁর প্রশংসা করাটা আবশ্যক। নুনো মেন্ডিসকেও সরিয়ে রাখার সুযোগ নেই, রোনালদোর গোলের উৎস তিনিই – চোখে লেগে থাকার মতই নিখুঁত ক্রস দিয়েছিলেন বটে।
স্কটল্যান্ডের জন্য যদিও দিনটা দু:খ-গাঁথা হয়েই থাকবে। অথচ শুরুটা অসাধারণ ভঙ্গিতেই হয়েছিল, মাত্র সাত মিনিটের মাথায় স্কট ম্যাকটমিনেয় দুর্দান্ত এক হেডারে জালের দেখা পান। সেই লিড ধরে রাখার প্রাণান্তকর চেষ্টা করেও সফল হতে পারলো না তাঁরা, এমন কি এক পয়েন্টও জুটলো না – কারণ প্রতিপক্ষ দলে একজন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ছিলেন।