চেন্নাইয়ের দুশ্চিন্তা পাওয়ারপ্লেতে বোলিং

গত দুই মৌসুমে পাওয়ার প্লেতে চেন্নাই সুপার কিংসের বোলিং সামলাতেন দীপক চাহার এবং মুকেশ চৌধুরী। কিন্তু এবারের মৌসুমে ইনজুরির কারণে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছেন এই দুই পেসার। ফলে পাওয়ার প্লেতে বোলিং নিয়ে দুশ্চিন্তা পোহাতে হচ্ছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দলকে। 

গত দুই মৌসুমে পাওয়ার প্লেতে চেন্নাই সুপার কিংসের বোলিং সামলাতেন দীপক চাহার এবং মুকেশ চৌধুরী। কিন্তু এবারের মৌসুমে ইনজুরির কারণে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছেন এই দুই পেসার। ফলে পাওয়ার প্লেতে বোলিং নিয়ে দুশ্চিন্তা পোহাতে হচ্ছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দলকে। 

এবারের মৌসুমে শেষ চারের দৌড়ে এখনো পর্যন্ত ভালোমতোই টিকে আছে চেন্নাই। নয় ম্যাচে পাঁচ জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে আছে দলটি। বেন স্টোকস, দীপক চাহার, সিসান্দ্রা মাগালাদের মতো তারকাদের ইনজুরি সত্ত্বেও নিজেদের সীমিত সামর্থ্যের সেরাটা ব্যবহার করেই দারুণ সফল দলটি। বিশেষ করে দলটির ব্যাটসম্যানরা আছেন দুরন্ত ফর্মে। প্রায় প্রতি ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিচ্ছে ধোনির দল। 

তবে চেন্নাইয়ের জন্য সবচেয়ে দুশ্চিন্তার ব্যাপার হলো পাওয়ার প্লেতে তাঁদের বোলিং লাইনআপ। ইনিংসের শুরুর ছয় ওভারে চেন্নাইয়ের বোলাররা ওভারপ্রতি ১০.১০ হারে রান দিয়েছেন যা কিনা আইপিএলের দলগুলোর মাঝে সর্বোচ্চ।

গত মৌসুমে চাহারের ইনজুরি থাকলেও মুকেশ চৌধুরী তাঁর অভাব টের পেতে দেননি। কিন্তু এবারের আসর শুরুর আগেই গোটা মৌসুমের ছিটকে যান মুকেশ। 

ফলে চেন্নাইয়ের হাতে পেস বোলার হিসেবে ছিলেন তিন তরুণ – তুষার দেশপান্ডে, রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকার এবং আকাশ সিং। তুষার দেশপান্ডে এবং হাঙ্গারগেকার মিডল কিংবা ডেথ ওভারে কার্যকরী হলেও ইনিংসের শুরুতে ততটা নন।

অন্যদিকে মুকেশের বদলি হিসেবে দলে ডাক পাওয়া আকাশ সিং ইনিংসের শুরুর দিকে সুইং আদায় করে নিতে পারলেও তেমন কার্যকরী নন। বিশেষ করে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচে যশস্বী জয়সওয়াল রীতিমতো নাকাল করেছেন এই পেসারকে। 

তবে আশার কথা হলো আগামী সপ্তাহেই সুস্থ হয়ে স্কোয়াডে ফেরার কথা স্টোকস এবং মাগালার। ফলে নিজেদের সেরা একাদশ সাজাতে ভালোই বেগ পোহাতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে।

বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের দুরন্ত ফর্মের সুবাদে বেন স্টোকসের একাদশে জায়গা পাওয়া কষ্টকর। কেননা তাঁর অনুপস্থিতিতে আজিঙ্কা রাহানে এবং শিভাম দুবে মিলে গড়ে তুলেছেন দুর্দান্ত এক মিডল অর্ডার জুটি। 

এছাড়া চেন্নাইয়ের চার বিদেশিই পারফর্ম করছেন সমানতালে। ডেভন কনওয়ে এবং মঈন আলীর জায়গা একদম পাকা, তাঁদের নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই। অন্যদিকে দুই লংকান তরুণ মাতিশা পাথিরানা এবং মহেশ থিকসানা দুজনেই নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিচ্ছেন।

বিশেষ করে ডেথ ওভারে তাঁদের নৈপুণ্যের ফলেই পাওয়ার প্লের ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পেরেছে চেন্নাই। অন্যদিকে পয়েন্ট তালিকায় তাঁদের অবস্থান আরো নিচের দিকেই হতো। 

দলটির বোলিং কনসালট্যান্ট এরিক সিমন্স বলেন, ‘আমাদের দলে বেশ কয়েকজন তরুণ বোলার আছে এবং তাঁরা বেশ ভালো করছে। টুর্নামেন্টে প্রতি ম্যাচেই রান হচ্ছে, ১৮ কিংবা ২০ বারের বেশি দলীয় সংগ্রহ ২০০ ছাড়িয়েছে। ফলে বোলারদের জন্য কাজটা মোটেই সহজ নয়।’

তিনি বলেন, ‘তবে আমরা প্রতিনিয়ত উন্নতি করছি। আমাদের ভরসাযোগ্য একটা ব্যাটিং লাইনআপ এবং তাঁরা প্রায় প্রতি ম্যাচেই আমাদের বড় সংগ্রহ এনে দিচ্ছে। তবে আমাদের বোলারদের আরেকটু ভালো করা দরকার, বিশেষ করে প্রতিপক্ষ যখন পাওয়ার প্লে টার্গেট করে খেলছে।’

এবারের মৌসুম দিয়েই আইপিএল ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। নিজের শেষটা রাঙিয়ে তুলতে তাই দ্রুতই পাওয়ার প্লে সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে চাইবেন ক্যাপ্টেন কুল। 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...