ওয়ার্নারকে টুর্নামেন্ট সেরা নির্বাচন কি অযৌক্তিক!

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। সাত ম্যাচে তিন ফিফটিতে ৪৮.১৬ গড়ে ২৮৯ রান, স্ট্রাইক রেট ১৪৭! চির চেনা ডেভিড ওয়ার্নার যেন সাম্প্রতিক সময়ের দু:সময় কাটিয়ে স্বরূপে ফিরেছেন। ফর্মেই শুধু ফিরেননি দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটাও তুলেছেন অজিদের কেবিনেটে।

আরো পড়ুন

ফাইনালেও অস্ট্রেলিয়ার জয়ে তিনি রেখেছেন বড় ভূমিকা। ট্রেন্ট বোল্টের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩৮ বলে তিন ছক্কা ও চারটি চারে ৫৩ রান করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার রান তাড়ার লড়াইটা মিশেল মার্শের সাথে মিলে এই ওয়ার্নারই শুরু করেছিলেন।

যদিও, এর মধ্যে একটু সমালোচনাও আছে। কেউ কেউ আওয়াজ তুলছেন – অযৌক্তিক ভাবে বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ওয়ার্নার। আবার এর পেছনে যুক্তিও আছে। কারণ, পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম রানের দিক থেকে এগিয়ে ছিলেন ওয়ার্নারের চেয়ে। বাবর আজম করেন ৩০৩ রান। আর তাঁর নেতৃত্বগুণও ছিল টুর্নামেন্টজুড়ে প্রশংসিত। দলের পারফরম্যান্স ভাল থাকার পরও শেষ মুহূর্তের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল হেরে বাদ পরে পাকিস্তান দল।

অনেকে আবার পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়নের কথাও বলছেন। তিনি ২৮১ রান করেছেন ৭০.২৫ গড়ে। কারো কারো মুখে ঘুরছে অ্যাডাম জাম্পার নাম। তিনি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী, আবার শিরোপাও জিতেছেন।

ওয়ার্নারকে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার দেওয়াটাকে অযৌক্তিক মানছেন পাকিস্তানের স্পিডস্টার শোয়েব আক্তারও। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস এক টুইটে লিখেছেন, ‘বাবর আজমের হাতে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার উঠবে বলে ভেবেছিলাম। অন্যায় একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি।’

বিশ্বকাপে বাবর আজম চারটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। তবে, ডেভিড ওয়ার্নারকে এগিয়ে দিয়েছে মূলত সেমিফাইনাল ও ফাইনালের পারফরম্যান্স। সেমিফাইনালে তিনি ৪৯ রানের ইনিংস খেলে জয়ের মঞ্চ প্রস্তুত করেন অস্ট্রেলিয়ার। ফাইনালেও তাঁর ৫৩ রানের ইনিংসে জয়ের পথ সুগম হয় অজিদের। ফাইনালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হওয়াটাই অনেকটাই এগিয়ে দেয় ওয়ার্নারকে। এই নিয়ে তর্ক বিতর্ক হতে পারে, তবে ওয়ার্নারের সেরা হওয়ার পুরস্কার পাওয়াকে কোনো ভাবেই অযৌক্তিক বা অন্যায় বলাটা যৌক্তিক নয়।

বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়

  • ২০০৭ সাল: শহীদ আফ্রিদি (পাকিস্তান)
  • ২০০৯ সাল: তিলকারত্নে দিলশান (শ্রীলঙ্কা)
  • ২০১০ সাল: ক্রেইগ কিসওয়েটার (ইংল্যান্ড)
  • ২০১২ সাল: শেন ওয়াটসন (অস্ট্রেলিয়া)
  • ২০১৪ সাল: বিরাট কোহলি (ভারত)
  • ২০১৬ সাল: বিরাট কোহলি (ভারত)
  • ২০২১ সাল: ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া)

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link