ধারাবাহিক ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে গতকাল রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের একাদশে ছিলেন না ডেভিড ওয়ার্নার। এমন কী একাদশ থেকে বাদ পড়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর মাঠেও আসেননি এই ওপেনার। ওয়ার্নার ইঙ্গিত দিয়েছেন এই মৌসুমে আর তাঁকে মাঠে নাও দেখা যেতে পারে।
এবারের মৌসুমে আট ম্যাচ খেলে ২৪.৩৭ গড়ে ও ১০৭.৭৩ স্টাইকরেটে মাত্র ১৯৫ রান সংগ্রহ করেছেন ওয়ার্নার। আট ম্যাচে দুটি হাফ সেঞ্চুরি করলেও স্ট্রাইক রেট নিয়ে ছিল প্রশ্ন। আর সর্বশেষ দুই ম্যাচে ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র দুই রান। তাই তাঁর বাদ পড়াটা স্বাভাবিক ছিল বলা চলে। কিন্তু এই ওপেনার আলোচনার জন্ম দেন মাঠে না এসে।
ওয়ার্নারকে একাদশে না দেখে ম্যাচ চলাকালীন অনেক দর্শকই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে প্রশ্ন রাখেন ওয়ার্নার কেন একাদশে নেই? এক সমর্থক ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন ওয়ার্নার কি স্টেডিয়ামে আছেন? তাঁকে তো কোথাও দেখলাম না। এর জবাবে ওয়ার্নার নিজেই লেখেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আর কখনো স্টেডিয়ামে যাওয়া হবে না। কিন্তু দয়া করে সমর্থন দিয়ে যান।’
টিম ডিরেক্টর টম মুডি এবং প্রধান কোচ ট্রেভর বেলিসের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে এই মৌসুমের প্রথম অংশে ওয়ার্নারকে অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে কেন উইলিয়ামসনকে অধিনায়ক করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে এই মৌসুম শেষে ওয়ার্নারকে ছেড়েও দেবে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।
তবে এবার ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে আগের মৌসুম গুলোতে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন ওয়ার্নার। সর্বশেষ ছয় আইপিএলেই ৫০০ এর বেশি রান এসেছে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে। প্রতিটা মৌসুমেই ১৩৫ এর বেশি স্টাইকরেট ছিল তাঁর। ২০১৬ সালের আইপিএলে ওয়ার্নারের নেতৃত্বেই প্রথম বারের মত শিরোপা জিতে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের শিরোপা জেতার পিছনে ব্যাট হাতে বড় অবদান রেখেছিলেন ওয়ার্নার। ঐ মৌসুমে ১৫০ এর বেশি স্টাইকরেটে ৮৪৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। আইপিএলের ইতিহাসেও অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ওয়ার্নার। আইপিএলে ১৫০ ম্যাচে ৪১.৬ গড়ে ও ১৩৯.৯৭ স্ট্রাইক রেটে ৫৪৪৯ রান সংগ্রহ করেছেন ওয়ার্নার। ৫০ টি হাফ সেঞ্চুরির সাথে ৪ টি সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর।