আন্তর্জাতিক পর্যায়ে টেস্ট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। জানুয়ারিতে পাকিস্তান সিরিজ শেষে টেস্ট পোশাক তুলে রাখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কয়েক মাস পরেই এই সংস্করণে থেমে যাবেন তিনি। যার ফলে তার নান্দনিক ব্যাটিং দেখার সুযোগ কমছে। ফলে ওয়ার্নারের বিদায় ঘোষণায় অনেকেই আক্ষেপে পুড়ছেন। ৩৬ বছর বয়সেই কেন ছাড়তে চান টেস্ট এ নিয়ে চলছে আলোচনা। তবে বর্তমান পারফরম্যান্স কথা বলছে ওয়ার্নারের বিপক্ষে। আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি দলে থাকতে পারবেন কিনা তা নিয়েও প্রকাশ করা যায় শঙ্কা।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিন ফরম্যাটেই দলকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ওয়ার্নার। নিজের সামর্থ্য দিয়ে নিজেকে নিয়েছেন উচ্চতর পর্যায়ে। এমন একজন ক্রিকেটারকে শুধুমাত্র রানের সংখ্যা দিয়ে বিচার করা সম্ভবত বোকামি। তবে দিনশেষে বাস্তবতা লুকিয়ে থাকে ঐ স্ট্যাটেই।
বর্তমানে ওয়ার্নার প্রস্তুতি নিচ্ছেন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের। ছন্দে নেই স্বস্তি পেতে পারে ভারতীয় দল। বছরের শুরুতে বর্ডার-গাভাস্কর ট্রফিতে ভুগেছেন রান খরায়। তিন ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ২৬ রান।
একজন ক্রিকেটারের খারাপ সময় যেতেই পারে। গতবছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডাবল শতক আর পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি অর্ধশতক ছাড়া বলার মত নেই কিছু। মাঝের এই ১৮ মাস ধরে ইমপ্যাক্টহীন অবস্থায় তিনি।
অস্ট্রেলিয়া দলে জায়গা ধরে রাখতে ওয়ার্নারকেও পারফর্ম করতেই হবে। বিশেষ করে টেস্ট চ্যাম্পিয়শিপের ফাইনাল ও অ্যাশেজে রান করা চাই তার।
জাতীয় দলে ওয়ার্নারের ক্যারিয়ার এক যুগের। মাঝের এই সময়ে তিনি নিজের জাত চিনিয়েছেন অসংখ্যবার। বল টেম্পায়ারিং এর মত ঘটনার সৃষ্টি করেছেন দলের স্বার্থেই। নিজের খারাপ সময় দূর করার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে ওয়ার্নারের।
৩৬ বছর বছর বয়সেই ওয়ার্নার টেস্ট ছাড়তে চাইছেন। ওয়ার্নারের এমন সিদ্ধান্ত বাজে প্রভাব ফেলতে পারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। টি-টোয়েন্টির ফেরি-ওয়ালাদের একজন এই বাঁ-হাতি। টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে অনেকেই অনীহা প্রকাশ করে সরাসরি।
ওয়ার্নার মেধাবী ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া দলে তার অবদান বাঁধিয়ে রাখার মত। অস্ট্রেলিয়া ম্যানেজম্যান্ট এই ধরণের ক্রিকেটারের কাছে ফলাফল চায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে চাইলে ওয়ার্নারকেও তাই ফিরতে হবে ছন্দে।
ওয়ার্নারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে অ্যাশেজ সিরিজে। সামলাতে হবে ব্রড-অ্যান্ডারসনদের গতি। ইংলিশদের বাজবল নীতির বিপক্ষে লড়াই করে ফিরতে হবে ছন্দে। যদিও এমন কিছু সহজে হওয়ার কথা নয়। তবুও অভিজ্ঞতা দিয়ে ছন্দে ফেরার কাজটি ওয়ার্নারের জন্য কঠিন হবেনা, এমন বিশ্বাস রাখতেই পারেন ভক্তরা।