২০২৩ বিশ্বকাপ প্রায় সমাপ্তির পথে। এই বিশ্বকাপের মধ্য দিয়ে বেশ কিছু খেলোয়াড় খেলে ফেলেছেন নিজেদের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। তাদেরই একজন ইংল্যান্ডের ডেভিড উইলি। অবশ্য উইলি বাকিদের থেকেও একধাপ এগিয়েই থাকছেন। তিনি যে বিদায় জানাচ্ছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে।
বিশ্বকাপের আগেই অবশ্য ডেভিড উইলি ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন নিজের বিদায়ের। এর পেছনে অবশ্য বোর্ডের প্রতি খানিকটা অভিমান কিংবা রাগও রয়েছে তার। কেননা ২০২৩-২৪ সার্কেলের জন্যে উইলিকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করেনি ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।
বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা একমাত্র ডেভিড উইলি রয়েছেন কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে। অভিমান কিংবা রাগ থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে নিজের শেষ বিশ্বকাপটায় একরাশ হতাশাই সঙ্গী হল উইলির।
গেল বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দলটা এবার বাদ পড়েছে প্রথম রাউন্ডেই। তবে শেষ ম্যাচটায় নিজের ছাপ রেখে গেলেন উইলি। পাকিস্তানের তিন খানা উইকেট শিকার করেছেন তিনি। পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উইকেটই গিয়েছে তার পকেটে। প্রথমে তিনি ফেরান আবদুল্লাহ শফিককে।
এরপর তার শিকারে পরিণত হন ফখর জামান। পাকিস্তানের হয়ে একাই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আগা সালমান। সেই সালমানকেও সাজঘরের পথ দেখিয়েছে ডেভিড উইলি। নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটায় দলের জয়ে অবদান রেখেই তবে বিদায় বললেন উইলি।
অবশ্য তার শেষ টুর্নামেন্ট বলেই কিনা নিজের সবটুকু উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন উইলি। দলগত ভাবে মোটেই ভাল কাটেনি ইংল্যান্ডের এবারের বিশ্বকাপ যাত্রা। মাত্র তিনটি ম্যাচ জিতেছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। সেদিক থেকে ৬ ম্যাচে একাদশে সুযোগ মিলেছিল উইলির।
১১টি উইকেট তিনি শিকার করেছেন এই সময়কালে। ইংল্যান্ডের তিন জয়ে তার অবদান ৭ উইকেট। বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে টুকটাক রানও করেছেন তিনি। ছোট ছোট ক্যামিও ইনিংসে তিনি ৭৮ রান করেছেন এবারের বিশ্বকাপে। শেষ ম্যাচে ৫ বলে ১৫ রানের এক মৃদু টর্নেডোও চালিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনি খরচ করেছেন ৫৬ রান। তবে গুরুত্বপূর্ণ তিন উইকেট নিজের করে নিয়ে দলের জয়কে সহজই করেছেন বা-হাতি এই পেসার। তবুও মাত্র ৩৩ বছর বয়সেই ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে হচ্ছে তাকে। জীবনের নিশ্চিতরুপেই কঠিনতম সিদ্ধান্ত তার।
শেষবেলায় অর্জনের ঝুলিটা অবশ্য শূন্যই রয়ে গেল। এক স্মিত হাসি আর ম্যাচ সেরার পুরষ্কার সঙ্গী হল। ছেলেবেলায় ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে চাপানোর স্বপ্নটা নিশ্চিতভাবেই পূর্ণ হয়েছে তার। তবে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনটা অধরাই থেকে গেল। ২০১৫ সালে শুরু হওয়া ক্যারিয়ারের ইতি টেনে নিলেন অষ্টম বছরে।