ডেনিজ উনদাভ – ফুটবল বিশ্বের কাছে নামটা মোটেই পরিচিত নয়। কোন ক্লাবে খেলেন সেটা তো জানেন এমন লোকের সংখ্যাও হাতে গোনা। অথচ জার্মানির জার্সি গায়ে জড়ালেই অর্ধপরিচিত মানুষটা হয়ে যান ত্রাণ কর্তা। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে নিশ্চিত হার থেকে দলকে বাঁচানোর পর বসনিয়ার বিপক্ষে বনে গেলেন জয়ের নায়ক।
কাই হাভার্টজ নেই, নিকলাস ফুলক্রুগও নেই; বাধ্য হয়ে উনদাভকেই শুরুর একাদশে রাখেন জুলিয়ান নাগেলসম্যান। আর সুযোগ কাজে লাগাতে তাঁর লেগেছে মোটে আধা ঘন্টা, ফ্লোরিয়ান উর্টজের বুদ্ধিদীপ্ত কৌশলের সুবাদে খানিকটা ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে ডান পায়ের শটে জার্মানিকে এগিয়ে দেন তিনি।
মিনিট ছয়েক পর আবারো স্কোরবোর্ডে নাম উঠান এই স্ট্রাইকার, এবার একেবারে নিখুঁত নাম্বার নাইনের ভঙ্গিমায় সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় পৌঁছে ঠান্ডা মাথায় জালের ঠিকানা খুঁজে নেন। তাঁর এমন পারফরম্যান্সের সুবাদে বিরতির আগেই দুই গোলের লিড পায় সফরকারীরা।
এই তারকা হ্যাটট্রিকও করতে পারতেন, করে ফেলেছিলেন প্রায়। ৫৮ মিনিটের সময় রিবাউন্ডে গোল করে মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি, কিন্তু সতীর্থ টিম ক্লেইনদিয়েনস্ট অফসাইডে থাকায় বাদ পড়ে সেই গোল। তবে জার্মানির জয়ের পথে সেটা বাঁধা হতে পারেনি। এডিন ডেকো এক গোল করলেও নাটকীয় কিছু করতে পারেননি, ফলে সহজ জয় নিয়ে টেবিলে সবার উপরে উঠে এসেছে জার্মানি।
এই নিয়ে মাত্র দুইবার জাতীয় দলে শুরুর একাদশে জায়গা পেয়েছেন উনদাভ, অথচ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইতোমধ্যে তিন গোল করে ফেলেছেন। সবমিলিয়ে পাঁচ ম্যাচের ক্যারিয়ারে তিন গোলের পাশাপাশি একটি অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি। এছাড়া চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে নয় গোল যোগ হয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
গত দুই বিশ্বকাপেই ‘নাম্বার নাইন’ এর অভাব ভুগিয়েছে জার্মানিকে। সেই অভাব পূরণে হাভার্টজ বা ফুলক্রুগ ঠিকঠাক পূরণ করতে না পারলেও এখন দারুণ সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয়েছেন স্টুটগার্ট তারকা – ২৮ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক অভিষেক হলেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখলে নিঃসন্দেহে লম্বা সময় জার্মানদের ত্রাতা রয়ে যাবেন তিনি।