২২ টেস্ট, ৩৬ ওয়ানডে আর ১০ টি-টোয়েন্টি – ভারতের জার্সি গায়ে অমিত মিশ্রার ক্যারিয়ার এতটুকুই। আকাশসম প্রতিভা আর সামর্থ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসলেও নিজের সর্বোচ্চ দেয়ার সুযোগটাই পাননি তিনি। বার বার টিম কম্বিনেশনের অজুহাতে বাদ দেয়া হয়েছে তাঁকে, অথচ ভারতের জার্সি গায়ে ৬৮ ম্যাচ খেলেই তাঁর উইকেট ১৫৬টি, কতটা ধারাবাহিক ছিলেন সেটা তাই বলার অপেক্ষা রাখে না।
মূলত অধিনায়ক আর টিম ম্যানেজম্যান্টের পছন্দের তালিকায় ছিলেন না এই বোলার। আর সেজন্যই এত অবহেলা, এত অবজ্ঞা। এসবের ফলে সম্ভাবনাময়ী একটা ক্যারিয়ারও থেমে গিয়েছে অনেক আগে।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ম্যানেজম্যান্টের পছন্দের হতে পারাটা দলে জায়গা পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। অধিনায়ক সবসময়ই একাদশ নির্বাচন করে। এমএস ধোনির সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক ছিল একসময়, সেই সুবাদে তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কেন আমাকে বাদ দেয়া হচ্ছে। সে বলেছিল, আমি টিম কম্বিনেশনে মানানসই নই।’
বারবার বিশ্রামের অজুহাতে মাঠের বাইরে রাখা হতো এমন অভিযোগ তুলে এই স্পিনার বলেন, ‘বলা হতো আমাকে নাকি বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। আমি তো কখনো বিশ্রাম চাই-ই নি। আমি তখনো দশ ম্যাচও খেলিনি, কেন বিশ্রাম চাইব। কোচকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি বললেন ধোনিকে জিজ্ঞেস করতে। কিন্তু তাঁর কাছে গিয়ে জবাবদিহিতা চাওয়ার জায়গায় আমি ছিলাম না।’
ধোনির পর বিরাট কোহলি দলের দায়িত্ব নেন, কিন্তু তাঁর অধিনায়কত্বের সময়েও ভাগ্য বদলায়নি মিশ্রার। ভাল পারফর্ম করা সত্ত্বেও একাদশের বাইরে পড়ে থাকতে হতো তাঁকে।
ক্ষুব্ধ এই লেগি একটা সময় নিজের ভবিষ্যৎ সরাসরি জানতে চেয়েছিলেন কোহলির কাছ থেকে, তবে সেটাও সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁকে (কোহলিকে) জিজ্ঞেস করেছিলাম, সে বললো আমি জেনে আপনাকে জানাব ভাই। আমি তাঁকে আরো মেসেজও দিয়েছি, সে বলতো জানাবে কিন্তু আর জানায়নি কিছু।’