বিধ্বংসী হোপের দুর্দান্ত ইনিংস

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিংয়ে উদ্বোধন করতে আসেন শাই হোপ। আর এসেই ঝড় তোলেন যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের উপর। এর আগে গ্রুপ পর্বে একটি মাত্র ম্যাচ খেলার সুযোগ পান তিনি। সেই ম্যাচেও ছিলেন দুর্দান্ত।

সুপার এইটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের। যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচটি দারুণভাবে শুরু করলেও ক্যারিবিয়ান বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২৮ রানেই থেমে যায় তাঁদের ইনিংস। বাকি কাজটা খুব সহজভাবেই সেরে ফেলেন উইন্ডিজ ব্যাটার শাই হোপ।

ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে থাকেন শাই হোপ। দ্বিতীয় ওভারে কেনজিগেকে ছক্কা হাকিয়ে তাঁর আক্রমণ শুরু করেন হোপ। পরের ওভারে এই বিশ্বকাপে দুর্দান্ত বল করা সৌরভ নেত্রাভালকারের ওভারে দুইটি বাউন্ডারি আদায় করেন তিনি।

প্রতি ওভারে চার ছক্কা হাকিয়ে দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন হোপ। অপর প্রান্তে থাকা সতীর্থ চার্লসও দর্শক বনে যান হোপের ব্যাটিং দেখে। পাওয়ার প্লে-র পরের ওভারেই ছক্কা হাকিয়ে মাত্র ২৬ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। যেখানে চার ও ছক্কার মার ছিল সমান চারটি করে।

অর্ধশতকের পরেও নিজের আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান হোপ। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার চার্লস আউট হলেও আক্রমণ চালিয়ে যান তিনি। পুরানকে নিয়ে যেন আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠেন তিনি। ম্যাচে যেন ছক্কার ঝড় তোলেন তাঁরা।

ইনিংসের নবম ওভারের শেষ তিন বলে টানা তিনটি ছক্কা হাঁকান হোপ। নিকোলাস পুরানের সাথে যেন ছক্কা হাকানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন তিনি। অবশেষে ছক্কা হাকিয়েই ইনিংস শেষ করেন হোপ।

শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে ৮২ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। হোপের এই ইনিংসটিতে ছিল মোট আটটি নান্দনিক ছক্কার মার। তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৫৫ বল হাতে রেখেই ৯ উইকেটের বিশাল জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link