শিশিরে নির্ভরশীল ভারতের একাদশ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্ব শুরু ২৩ অক্টোবর। সংযুক্ত আরব আমিরাতে শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার হাই ভোল্টেজ ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু হবে মূল পর্বের। ঠিক তাঁর পরদিন উপমহাদেশ তথা পুরো ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দ্বৈরথ ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ।

তবে ভারতীয় কোচ রবি শাস্ত্রীর বিশেষ কোন পরিকল্পনা সাজিয়েছেন কি না তা জানা না গেলেও তিনি যে একটা বিষয় নিয়ে চিন্তিত তা অকপটে স্বীকার করেছেন আনুষ্ঠানিক এক সংবাদ সম্মেলনে। রবি শাস্ত্রী এই ভারত দলের সাথে রয়েছেন কোচিং মেয়াদের শেষ প্রান্তে। তাই নিশ্চয়ই তিনি চাইবেন স্মরণীয় করে রাখতে তাঁর শেষ যাত্রাটাকে।

শাস্ত্রীর পরিকল্পনার পুরোটা জুড়ে রয়েছে বোলার কম্বিনিশন। তিনি চিন্তিত আরব আমিরাতের শিশির নিয়ে। কেননা শিশির বিবেচনায় তিনি ঠিক করবেন দলে কতজন স্পিনার কিংবা কতজন পেসার খেলাবেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতে সাত উইকেটের বড় ব্যবধানে।

সংবাদ সম্মেলনে শাস্ত্রী বলেন, ‘আমরা আসলে দেখতে চাই আরব আমিরাতে কি পরিমাণ শিশির পরে। তাঁর উপর ভিত্তি করে আমরা সিধান্ত নেবো আমরা আগে বোলিং করবো নাকি ব্যাটিং। তাছাড়া এই প্রস্তুতি ম্যাচের সুবাদে আমাদের এটাও জানা হয়ে যাবে যে আমাদের একজন অতিরিক্ত স্পিনার খেলানো উচিৎ নাকি একজন অতিরিক্ত পেসার।’

শিশিরের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। রাত্রিকালীন শিশির সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় ফেলে দেয় স্পিনারদের। স্পিনারদের বল গ্রিপ করতে সমস্যা হয়। এর সুবিধা নিয়ে থাকেন ব্যাটাররা। গ্রিপ ছুটে যাওয়ার ফলস্রুতিতে প্রচুর পরিমাণ লুজ বল হবার সম্ভাবনা থাকে। তাতে ম্যাচ হেরে যাওয়ার শঙ্কা থাকে শতভাগ। তাইতো শাস্ত্রী এ বিষয়ে রয়েছেন সতর্ক।

প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে নিশ্চয়ই তিনি অনুমান করে নিয়েছেন তাঁর জন্যে কোন পরিকল্পনা কার্যকরী হতে পারে। এতসব চিন্তার মূল কারণ ভারতের সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে রাতের বেলা। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ম্যাচগুলো শুরু হবার কথা রয়েছে।

তাছাড়া দলের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে শাস্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘দলের অধিকাংশ খেলোয়ার দীর্ঘ দুই মাস যাবৎ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলেছে এবং বিশ্বকাপ দলে থাকা প্রত্যেকেই ছিলেন তাঁদের ফ্রাঞ্চাইজি দলের নিয়মিত মুখ। তাই খেলোয়াড়রা ফর্মেই রয়েছেন সে নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। তবে তাঁদের সবাইকে একত্রে খেলতে হবে, একটি দল হয়ে খেলার মানসিকতা নিজেদের মাঝে ধারণ করতে হবে।’

রবি শাস্ত্রীর পরিবর্তে বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে ভারত জাতীয় দলের দায়িত্বভার নিতে চলেছেন ভারতের অন্যতম কিংবদন্তি খেলোয়াড় রাহুল দ্রাবিড়। যেহেতু এই বিশ্বকাপই শাস্ত্রীর শেষ অ্যাসাইনমেন্ট হতে চলেছে তাই হয়ত তিনি একটু বাড়তি সতর্কতাই অবলম্বন করবেন। তাছড়া প্রতিটি পরিকল্পনা যাচাই করে নেবেন পুঙ্খানপুঙ্খভাবে। শেষটা রাঙিয়ে নিতে চাইবেন বিশ্বকাপের হাজারো রঙে।

২০২২ সালের মে মাসে শাস্ত্রীর বয়স হবে ৬০। এই বয়সে শরীরকে খুব বেশি চাপ দিতে চান না তিনি। তাই আইপিএলের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা তাঁর নেই। তবে, শোনা যাচ্ছে আগের মত ফের ধারাভাষ্যে আসতে পারেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link