সেজদাহ দিতে গিয়েও কেন শেষ মুহূর্তে থামলেন শামি?

একটা ‘লঙ্কা-কাণ্ড’ই হয়েছে বটে। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ৫৫ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জ্বায় ডুবেছে শ্রীলঙ্কা। আর সেই ধ্বংসযজ্ঞে বল হাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন মোহাম্মদ শামি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেট শিকারের পর এক ম্যাচ বাদেই আবারো লঙ্কানদের বিপক্ষে এ দিন ফাইফারের স্বাদ নিয়েছেন এ পেসার।

আর এতেই ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের একটি অংশে শীর্ষে পৌঁছে গেছেন শামি। বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় জাভাগাল শ্রীনাথ এবং জহির খানকে ছাড়িয়ে গিয়েছে মোহাম্মদ শামি। সাবেক এ দুই পেসারের সংগ্রহেই ছিল ৪৪ উইকেট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে সেই রেকর্ডকেই ছাপিয়ে গেলেন শামি।

তবে এ দিন মাঠের কীর্তি ছাপিয়ে আরেকটি ঘটনাতেও আলোচনায় এসেছেন ভারতীয় এ পেসার। কাসুন রাজিথার উইকেট নিয়ে শ্রীনাথ এবং জহির খানকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পর মাঠে সেজদাহ দিতে গিয়েছিলেন শামি। এর জন্য একবার চেষ্টাও করেছিলেন হাঁটু গেড়ে নিচে নামার। তবে এর মধ্যে কী মনে করে শেষ পর্যন্ত আর সেজদাহ দেননি শামি।  কেন দেননি, সেই ব্যাপারটা এখন পর্যন্ত অজানা। তবে ম্যাচের নির্দিষ্ট ঐ মুহূর্তের ফুটেজ এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ধারণা করা হচ্ছে, বিতর্ক এড়াতেই শামি শেষ পর্যন্ত সেজদাহ দেননি। কেননা মাঠের ভিতরে এর আগে নামাজ পড়া নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন পাকিস্তান মোহাম্মদ রিজওয়ান। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন মাঠেই নামাজ আদায় করেছিলেন পাকিস্তানের এ উইকেটরক্ষক এ ব্যাটার।

নামাজরত অবস্থায় রিজওয়ানের সেই ভিডিও চিত্র প্রশংসা কুড়ালেও তাঁর বিরুদ্ধে আইসিসিতে অভিযোগ করেছিলেন ভারতের এক আইনজীবী। বিনীত জিন্দাল নামের সে আইনজীবী আইসিসির চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলের কাছে একটি অভিযোগপত্রও পাঠিয়েছিলেন। যেখানে তিনি মোহাম্মদ রিজওয়ানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

এ ছাড়া পাকিস্তানের ক্রিকেট সঞ্চালক জয়নাবের বিরুদ্ধে দিল্লীর আদালতে সাইবার আইনে অভিযোগ তুলেছিলেন এই একই আইনজীবী। জয়নাবের হিন্দুবিরোধী ও ভারতবিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিনীত জিন্দাল। যার পরিপ্রেক্ষিতে জয়নাব ভারত ছেড়ে যান এবং নিজের পুরনো মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চান।

সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ চলাকালীন কোনো বিতর্কে না জড়াতেই শামি সেজদাহ দিতে গেয়েও থেমে যান, এটাই অনেকের মত। তবে সেঞ্চুরির পর কিংবা বোলারদের ৫ উইকেট প্রাপ্তির পর মুসলিম কোনো ক্রিকেটারের সেজদাহ দেওয়া নতুন ঘটনা নয়। বরং সচরাচরই ঘটে বলা যায়। আর এটি নিয়ে আইসিসিরও কোনো বিধি নিষেধ নেই।

 

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link