ব্রাজিল কিংবা বসনিয়া – প্রতিপক্ষের নাম ব দিয়ে শুরু হলেই জার্মানির রক্তে বোধহয় নিষ্ঠুরতা জেগে ওঠে। কথায় আছে, লাল রং দেখলে নাকি রাগী ষাড় আরো রেগে যায়। জার্মানিও বোধহয় সেরকম, ‘ব’ অক্ষর শুনলেই মেজাজ হারিয়ে ফেলে।
২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ব্রাজিলকে সাত গোল দেয়ার স্মৃতি এখনও মুছে যায়নি। আর সেই স্মৃতি আরো একবার জাগিয়ে তুলেছে খোদ জার্মানি, বসনিয়ার বিপক্ষে উয়েফা নেশন্স লিগে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে জার্মানরা গুণে গুণে সাতবার বল পাঠিয়েছে বসনিয়ার জালে।
ম্যাচের শুরুটাই অবশ্য হয়েছিল গোল দিয়ে, রেফারির বাঁশি বাজার মিনিট খানেক পরেই জসুয়া কিমিখের ক্রস ফাঁকায় দাঁড়ানো জামাল মুসিয়ালাকে খুঁজে নেয়। ফ্রি হেডারে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন মুসিয়ালা। গোল বন্যার দ্বার খুলে গিয়েছিল তখনই। এই মোমেন্টাম কাজে লাগিয়ে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল পান টিম ক্লেইনডিয়েন্সট – যদিও ভাগ্যের কৃতিত্ব বেশি ছিল সেখানে।
বিরতির আগে কাই হাভার্টজেরস সুবাদে লিড তিনগুণ করে ডাই ম্যানসক্রাফটরা। ফ্লোরিয়ান উর্টজের নিঃস্বার্থ পাসে দলের জয় তখনই নিশ্চিত করেছিলেন হাভার্টজ।
তবে উর্টজ নিজেই সন্তুষ্ট হতে পারেননি, তাই তো পঞ্চাশ মিনিটের সময় ফ্রি কিক থেকে সরাসরি গোল আদায় করে নেন। তাঁর সেই বাঁকানো শট রিপ্লেতে বারবার দেখলেও ক্লান্ত হবে না কোন চোখ। মিনিট কয়েক পরে তিনিই আবার নাম লেখান স্কোরবোর্ডে, এবার অবশ্য বেশি কষ্ট করতে হয়নি, একেবারে সহজ সুযোগ কাজে লাগিয়েছিলেন। আর তাতেই পাঁচ গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
ততক্ষণে বসনিয়ার রক্ষণভাগ হাল ছেড়ে দিয়েছিল, তবুও মায়া জাগেনি জার্মানির হৃদয়ে। আরো একটা করে গোল করেন লিরয় সানে এবং ক্লেইনডিয়েন্সট। সবমিলিয়ে অবিশ্বাস্য ব্যবধানের একটা জয় – এর ফলে টেবিল টপার হয়েই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত করলো জার্মানি।