দলের পারফরম্যান্সে তিনি কতোটুকু হতাশ, আদৌ হতাশ কি না, বোঝা মুশকিল। ছাইভষ্মেও তিনি আশার আলো দেখতে পান। এই পরাজয়ের দুয়ারে দাড়িয়েও তিনি স্বপ্ন ছাড়তে রাজী নন। তার মুখের হাসি কখনো ম্লান হয় না।
এক অন্যরকম মানুষ রাসেল ডমিঙ্গো। এই অন্যরকম মানুষটিও আজ নুরুল হাসান সোহানের শট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দারুন হতাশা প্রকাশ করলেন। বললেন, সোহান আসলেই নিজেকে এবং দলকে ডুবিয়ে এসেছেন।
তবে সব হতাশাকে আসলে একটা চাদরে ঢেকে রাখার চেষ্টা করছেন ডমিঙ্গো। সাইফ হাসান, সাদমান ইসলামদের টানা শিশুসূলভ ভুলের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তাই বারবার অনভিজ্ঞতার প্রশ্ন টেনে আনছেন।
এই টেস্টে বাংলাদেশ আর খেলায় নেই, এটা বালকেও বোঝে। তারপরও রাসেল ডমিঙ্গো আগামীকালকের দিনটা নিয়ে স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি। পুরো টেস্ট জুড়ে দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে তিনি নাকি খুশি!
বললেন, ‘আমরা প্রথম দু দিন খুব ভালো খেলেছি। তৃতীয় দিনেরও বেশিরভাগ সময়টা ভালো খেলেছি। কিন্তু গতকাল শেষ সেশনটা ভালো যায়নি। ওটাই আমাদের চাপে ফেলে দিয়েছে। এটা দেখাটা খুব হতাশার। কিন্তু আমি মনে করে এ ছাড়া আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি টেস্ট জুড়ে। আমরা প্রথম ইনিংসে ভালো স্কোর করেছিলাম। আমাদের স্পিনার ও পেসাররা ভালো লিড এনে দিয়েছে। এরপর গতকালকের শেষ সেশনটা খুব খারাপ গেছে।’
আজকেও তার হতাশা বেড়েছে। এক লিটন দাস ছাড়া কেউ সেভাবে রুখে দাড়াতে পারেননি। বদলী হিসেবে সুযোগ পেয়েই উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছেন সোহান।
তার আউট নিয়ে বলছিলেন, ‘আপনি সোহানকে জিজ্ঞেস করলেও নিশ্চিত সে বলবে, এই বলে সে এই শট করতে চায় না। সে কখনোই এই শট করবে না। কিন্তু সে নিজেকে এবং দলকে যে ডুবিয়ে এসেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’
ডুবিয়েছেন সাইফ, সাদমান, শান্তরাও। তাদের অবশ্য রক্ষা করার একটা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কোচ। বলছিলেন, ‘এটা হতাশাজনক। উইকেটের চরিত্র বিবেচনায় নিলে ওরা যেভাবে আউট হয়েছে, তাতে আমরা খুশি নই। কিন্তু সাদমান মাত্র গত টেস্টেই সেঞ্চুরি করে এসেছে; সেটা পাচ-ছয় মাস আগের কথা। আসলে আমরা নতুন বলে নিজেদেরকে চাপে ফেলে দিচ্ছি। আমরা খুব কোয়ালিটি বোলিংয়ের বিপক্ষে খেলছি। সাইফ তো মাত্র নিজের পঞ্চম বা ষষ্ঠ টেস্ট খেলছে। ও খুবই অনভিজ্ঞ। সাদমানও মনে হয় দশম টেস্ট খেলছে। ওদের জন্য এই ধরণের উচু মানের বোলিং খেলাটা একটু কঠিন। ফলে এদের নিয়ে বেশ কাজ করতে হবে।’