Social Media

Light
Dark

যত্ন নিলে রত্ন মিলবেই

পেসাররা এখন ছুটছেন আলোর গতিতে, এই ছোটা চলবে কতদিন - উত্তরটা দিয়েছেন সাদা বিদ্যুৎ নিজেই। তিনি বলেন, ‘আমি চাই তাঁরা শুধুই উন্নতি করুক। এটাই হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম বড় অর্জন। যে আত্মবিশ্বাস পেসারদের মধ্যে আছে সেটা ধরে রাখতে হবে। সেই সাথে উদীয়মানদের খুঁজে যত্ন নিতে হবে প্রত্যেকের।’

বাংলাদেশে এখন চলছে পেস বসন্ত। চারপাশে সৌরভ ছড়াচ্ছেন পেসাররা, কোকিল কণ্ঠে গাইছেন গান – সেই সাথে আগুন হয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছেন প্রতিপক্ষকে। সবশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে টাইগার পেসাররা রীতিমতো ত্রাস হয়ে উঠেছে, দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁদের সবকয়টি উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদরা।

এই যে পেসারদের বসন্ত, এই বসন্তের শুরুটা যদি হয় ওটিস গিবসনের হাত ধরে তবে সেটা পূর্ণতা পেয়েছে অ্যালান ডোনাল্ডের যুগে। মার্চ ২০২২ থেকে শুরু করে নভেম্বর ২০২৩; প্রায় দেড় বছর সময়ে তিনি যা করেছেন সেটা বাংলাদেশের ইতিহাসে আলাদা করে লেখা থাকবে। আপাতত সুদূর জোহানসবার্গে আছেন এই কিংবদন্তি, কিন্তু শিষ্যদের ওপর ঠিকই চোখ রেখেছেন।

তাই তো পাকিস্তানের বিপক্ষে পেস ইউনিটের সাফল্য তাঁর অজানা নয়, শুধু কি তাই? অসম্ভব খুশিও হয়েছেন বটে। আর সেটা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের স্থানীয় একটি গণমাধ্যমে কথা বলার সময়।

পেসারদের প্রথমবারের মত দশ উইকেট পাওয়ার ব্যাপারে প্রোটিয়া তারকা সেখানে বলেন, ‘আমার অন্যতম চ্যালেঞ্জ ছিল তাঁদের মন থেকে ভয় দূর করা, তাঁরা ভুল করার ভয়ে থাকতো সবসময়। আমি সেই ভয় দূর করেছি, এক বছরের মধ্যেই সেটার পুরষ্কার আসতে শুরু করেছিল। এখন তাঁদের এভাবে পারফর্ম করতে দেখাটা অন্য রকম আনন্দ দেয় আমাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কয়েক বছর আগে আমার নাহিদ রানার সঙ্গে দেখা হয়েছিল, তখন সে যুব দলের সদস্য। তাঁকে দেখে আমি রোমাঞ্চিত হয়েছিলাম। এছাড়া হাসান মাহমুদের ব্যাপারে রাসেল ডোমিঙ্গো জানিয়েছিল আমি নাকি অভিভূত হয়ে যাব। সত্যিই, তাই হয়েছিলাম – এই ছেলেগুলো এখন অসাধারণ পারফরম্যান্স করছে, এটাই সবচেয়ে দারুণ ব্যাপার আমার জন্য।’

পেসারদের ভাল করার সাথে একটা প্রশ্নও উঠেছে, টিম ম্যানেজম্যান্ট ওয়ার্কলোড সামলাবে কিভাবে। এই ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে ডোনাল্ড বলেন, ‘আপনি এমন একটা জায়গায় যেতে চাইবেন যেখানে আপনি চাইলেই রোটেট করতে পারেন, কাউকে বিশ্রাম দিতে পারেন দুই ম্যাচের জন্য। অস্ট্রেলিয়াতে এমনটাই হয়। ওয়ার্কলোড খুবই গুরুত্বপূর্ণ, পরবর্তী সিরিজের আগে যেন আপনার হাতে প্রাণবন্ত পেসাররা থাকে।’

পেসাররা এখন ছুটছেন আলোর গতিতে, এই ছোটা চলবে কতদিন – উত্তরটা দিয়েছেন সাদা বিদ্যুৎ নিজেই। তিনি বলেন, ‘আমি চাই তাঁরা শুধুই উন্নতি করুক। এটাই হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম বড় অর্জন। যে আত্মবিশ্বাস পেসারদের মধ্যে আছে সেটা ধরে রাখতে হবে। সেই সাথে উদীয়মানদের খুঁজে যত্ন নিতে হবে প্রত্যেকের।’

Share via
Copy link