বিশ্বকাপ নয়, ভারতের ইভেন্ট!

ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। তার উপর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ম্যাচ। যে স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণ ক্ষমতা আবার ১ লক্ষ ৩০ হাজার! সব মিলিয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণের আবহে পুরোটাই ছিল ভারতের পক্ষে।

যদিও যে ম্যাচ নিয়ে এত দর্শক সমাগম, সে ম্যাচটাই শেষ হয়েছে বড্ড একপেশে এক লড়াইয়ে। ভারতের বিপক্ষে ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়তে পারেনি বাবর আজমের দল। ৭ উইকেটের পরাজয় সঙ্গী হয়েছে পাকিস্তানের সাথে।

তবে ভারতের বিপক্ষে বড় হারের পর হারের পিছনে ভিন্ন এক অজুহাতই দাঁড় করালেন পাকিস্তানের কোচ মিকি আর্থার। তাঁর কাছে নাকি এটা আইসিসির কোনো ম্যাচ নয়, বরং বিসিসিআইয়ের ইভেন্ট মনে হয়েছে। ম্যাচ শেষের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এটিই জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান এ কোচ।

তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে কী,  এ ম্যাচ দেখে আইসিসির ইভেন্ট মনে হয়নি। মনে হয়েছে দ্বিপাক্ষিক কোনো সিরিজ চলছে। বুঝার উপায় নেই, এটি আইসিসির ইভেন্ট। মনে হচ্ছে বিসিসিআইয়ের ইভেন্ট। স্টেডিয়ামে ভারতের অনেক সমর্থন ছিল। কিন্তু তার বিপরীতে আজ রাতে লাউড স্পিকারে দিল দিল পাকিস্তান খুব একটা শুনিনি।’

অবশ্য এটিকে ঠিক অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চান না আর্থার। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, এটির ভূমিকা ছিল। তবে এটিকে অজুহাত হিসেবে দেখাচ্ছি না। আমরা নিজেদের মেলে ধরতে পারিনি। ২ উইকেটে ১৫৫ থেকে ১৯০-এর আশপাশে গিয়ে অলআউট হয়ে যাওয়া— কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ভারতকে অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হবে, ওরা অনেক ভালো বোলিং করেছে।’

তবে আইসিসি’র ইভেন্টে এমন একটা দলকেন্দ্রিক পরিবেশ প্রতিপক্ষকে কেমন প্রভাবিত করে তা জানাতে গিয়ে মিকি আর্থার বলেন, ‘দেখুন, এ ব্যাপারে মন্তব্য করা উচিৎ হবে না। কারণ আমি জরিমানা গুণতে চাই না।’

অবশ্য ভারতের বিপক্ষে এমন বড় হারের পরও আহমেদাবাদের এই মাঠেই ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে চোখ রাখছেন মিকি আর্থার। তিনি বলেন, ‘ভারতের এই দলটা এক কথায় দুর্দান্ত। রাহুল দ্রাবিড় আর রোহিত শর্মা মিলে দলটাকে ভাল ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।  ওদের দলে কোনো কিছুর অভাব নেই। তবে ফাইনালে আবার তাদের সঙ্গে খেলতে মুখিয়ে আছি।’

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link