সকালে সাভারের ইপিজেডে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে পোশাক শ্রমিকরা। আর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ভেন্যু বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) যাওয়ার পথে শ্রমিকদের সেই আন্দোলনের মুখে পড়ে আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিদের বহনকারী গাড়ি। এক পর্যায়ে তাদের হামলায় আহত হন তারা।
গাড়িতে ছিলেন ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল ও আদিল আহমেদ। আর আম্পায়ারদের ভিতর ছিলেন শফিউদ্দীন, তানভীর আহমেদ, ইমরান পারভেজ, আবদুল্লাহ আল মতিন, সোহরাব হোসেন ও বরকতউল্লাহ। তাঁর বহন করা গাড়ির সাথে অন্য যানবাহন গুলোর উপরও হামলা করা হয়েছিল।
ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন ১৫ থেকে ২০ মিনিট স্থায়ী এই আন্দোলনে হাজার হাজার শ্রমিক ট্রাফিকের নিয়ন্ত্রণে থাকা গাড়িতে হামলা চালিয়েছে। শ্রমিকদের হামলায় কেউ গুরুতর আহত না হলেও জানালার কাচ ভেঙে সবার উপর পড়ে।
এরপর স্থানীয় পুলিশ এবং বিসিবির নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তায় তারা সেখান থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যান। ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল নয়টায়। কিন্তু এই ঘটনার জন্য নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট পর বিকেএসপিতে দিনের প্রথম দুটি ম্যাচ শুরু হয়।
প্রথম দুই ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব এবং লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। পরের দুই ম্যাচে মুখোমুখি হবে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন এবং গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতি।
ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিটনের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ এটাকে দূর্ভাগ্যজনক ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ‘ম্যাচ অফিসিয়ালরা এই রকম ঘটনার মুখে দুর্দান্ত সাহস দেখিয়েছে। তারা সকাল ৯.৩০ টায় ম্যাচ গুলো শুরু করেছে। তাদের সাথে পুলিশ মতায়ন করা ছিল চার জন। কিন্তু আন্দোলনে হাজার হাজার মানুষ মুখোমুখি হয়েছিল।’
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টোয়েন্টি লিগে প্রতি রাউন্ডে ছয়টি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। যার চারটিই অনুষ্টিত হয় বিকেএসপির তিন নম্বর ও চার নম্বর মাঠে। আর বাকি দুটি অনুষ্টিত হয় মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। জৈব সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করে রাজধানীর চারটি পাঁচ তারকা হোটেলে রয়েছেন সবাই। হোটেল গুলো হলো আমারি, ওয়েস্টিন, ইন্টারকন্টিনেন্টাল এবং ফোর পয়েন্টস বাই শেরাটন।