দীর্ঘ বিরতীর পর অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে। আগামী ৬ মে থেকে আবার নতুন করে শুরু হবে এই ঘরোয়া আসরটি। চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে অনুষ্টিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর বিশ্বকাপের প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখে ওয়ানডের পরিবর্তে এবারের ডিপিএল আয়োজন করা হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
করোনার প্রভাবে গত বছর মাত্র এক রাউন্ড মাঠে গড়ানোর পরই স্থগিত হয়ে যায় দেশের ঐতিহ্যবাহী ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়াম লিগ (ডিপিএল)। ডিপিএল স্থগিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বন্ধ হয়ে যায় দেশের সব ধরণের ক্রিকেট। এরপর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট দিয়ে ক্রিকেট মাঠে ফেরালেও এখনো ডিপিএল আয়োজন করতে পারেনি।
এছাড়া গত বছর হওয়া ডিপিএলের প্রথম রাউন্ড বাতিল করার সিদ্বান্ত নিয়েছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)। তবে প্রথম রাউন্ড বাতিল এবং ফরম্যাট পরিবর্তন হলেও আগের স্কোয়াড নিয়েই মাঠে নামবে দল গুলো।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ খেলার পর নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেই টেস্ট সিরিজ খেলতে এপ্রিলে শ্রীলংকা সফরে যাবে মুশফিক-তামিমরা। এরপরের মাসেই আবার ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে শ্রীলংকা।
মূলত জাতীয় দলের এই ব্যাস্ত সূচির কারণেই মে মাসে ডিপিএল আয়োজন করছে সিসিডিএম। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ছাড়া পুনরায় ডিপিএল আয়োজন করাও কঠিন ছিলো। কারণ ক্রিকেটারদের সাথে আগেই চুক্তি করেছে ক্লাব গুলো। এখন জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বাদ রেখে ডিপিএল আয়োজন করতে চাইলে আবার প্লেয়ার্স ড্রাফটে অংশ নিতে হতো ক্লাব গুলোকে।
এছাড়াও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের খেলার সুযোগ করে দেওয়াও জরুরি ছিলো। তাই ক্লাব গুলোর মতামত নিয়ে সিসিডিএম সিদ্বান্ত নিয়েছে দেরিতে হলেও জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করেই ডিপিএল আয়োজন করবেন তাঁরা।
এর আগেই অবশ্য মাঠে ফিরবে ঘরোয়া লিগ। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের ২২ তারিখ থেকে শুরু হবে জাতীয় লিগ। এবারের জাতীয় লিগের নামকরণ করা হচ্ছে জাতিক জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। লিগ শুরুর আগে দল গুলোকে অনুশীলনের সুযোগ দিতে ইতিমধ্যে ১৮ সদস্যের স্কোয়াডও ঠিক করে দিয়েছে বিসিবির নির্বাচক প্যানেল।