‘ডাকবাবা’ খেতাব নেওয়ার পথে লিটন দাস!

মোনালিসা নয়, বরং লিটন দাসকে এখন সম্ভবত ‘ডাকবাবা’ নামেই ডাকার সময় চলে এসেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি ওয়ানডে সিরিজে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ডাকের শিকার হলেন তিনি।

মোনালিসা নয়, বরং লিটন দাসকে এখন সম্ভবত ‘ডাকবাবা’ নামেই ডাকার সময় চলে এসেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি ওয়ানডে সিরিজে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ডাকের শিকার হলেন তিনি।

আর ডাকের রেকর্ডেও বারবার চলে আসছে লিটন দাসের নাম। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এই নিয়ে ১৪ তম বার ডাকের শিকার হলেন তিনি। ওপেনার হিসেবে এটা লিটনের ১৩ তম ডাক। ওপেনার হিসেবে নয়, ছয় ও পাঁচটি করে ডাক আছে যথাক্রমে শাহরিয়ার নাফিস, এনামুল হক বিজয় ও সৌম্য সরকারের।

ওপেনার হিসেবে লিটনের চেয়েও বেশি ডাক বাংলাদেশিদের মধ্যে আছে কেবল একজনেরই। তিনি হলেন তামিম ইকবাল। ওপেনার হিসেবে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে তিনি ১৯ বার শূন্য রানে ফিরে গেছেন সাজঘরে। শুধু ওপেনার হিসেবে নয়, যেকোনো পজিশনেই ওয়ানডেতেই এটা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ডাকের রেকর্ড।

ওয়ানডেতে ডাকের রেকর্ডে বাংলাদেশিদের মধ্যে এর পরেই আছেন হাবিবুল বাশার সুমন, মোহাম্মদ রফিক ও মাশরাফি বিন মুর্তজা। সুমন ১৮ টি ও রফিক-মাশরাফি ১৫ টি করে ডাকের শিকার হন।

এরপরই আছেন লিটন দাস। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই যেন ডাক তাঁর নিত্য সঙ্গী। যতক্ষণ ক্রিজে থাকেন, ততক্ষণ মুগ্ধ করলেও তিনি বরাবরই আউট হন দৃষ্টিকটু কায়দায়। আর রানের খাতা খোলার আগেই আউট হওয়ার চেয়ে দৃষ্টিকটু আর হৃদয়বিদারক কিই বা হতে পারে।

২০১৫ সালে লিটন ওয়ানডেতে দু’বার ডাক মারেন। এরপরে ২০১৬ ও ১৭ সালে কোনো ডাক ছিল না তাঁর। ২০১৮ সালে আবারও দু’টি ডাক। দুই বছর বিরতি দিয়ে ২০২১ সালে তিন বার ডাক মারেন তিনি।

এরপর ২০২২ সালে কোনো ডাক ছিল না লিটনের। এরপর সর্বোচ্চ সংখ্যক পাঁচটি ডাক তিনি মারেন ২০২৩ সালে। ২০২৪ সালেও সে পথেই আছেন। মার্চের মাঝামাঝি যেতে না যেতেই দু’বার ডাক মেরেছেন। এই ডাকের ইতিহাস আর কত লম্বা হয়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...