সিরি ‘এ’র ম্যাচে লিসের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোল করলেন পাওলো দিবালা। কিন্তু উদযাপন করতে পারলেন না। গোল করার সঙ্গে সঙ্গেই টের পেলেন, ঊরুর পেশিতে টান পড়েছে। আঘাতটা কেমন তা দেখার জন্য দলের সব সতীর্থরা যখন দিবালাকে ঘিরে ধরেছে তখন দেখা গেল, আঘাতটা বেশ গুরুতর।
উঠে দাঁড়াতেই পারছিলেন না দিবালা। শেষ পর্যন্ত খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বেঞ্চের দিকে এগিয়ে যান তিনি। আঘাতটা যে গুরুতর, আর তাঁর মাশুল হিসেবে যে তাঁকে বিশ্বকাপের সময়ও টেলিভিশন সেটের অপর প্রান্তে বসে থাকতে হতে পারে সেটাই এখন তীব্র আশঙ্কার বিষয়।
এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন জোসে মরিনহোও। ম্যাচ শেষে তিনি গণমাধ্যমের সামনে মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আসলে মারাত্মক আঘাত পেয়েছে পাওলো। আশা করছি, খুব গুরুতর কিছু যেন না হয়। আমি ডাক্তার নই। তবে যেটুকু আশঙ্কা করছি, দিবালার বিশ্বকাপ তো বটেই, এই মৌসুমও তা শেষ হয়ে যেতে পারে। ২০২৩ এর আগে তাঁর ফেরার সম্ভবনা দেখছি না।’
২০২২ সালে দিবালা আর মাঠে নামতে না পারলে, রোমার তুলনায় বেশি ক্ষতিটা সবচেয়ে বেশি হবে আর্জেন্টিনা দলের। লিওনেল স্কলানির পরিকল্পনায় নিশ্চিতভাবেই ছিলেন দিবালা। জুভেন্টাস ছেড়ে এ এস রোমায় এসে দারুণ ছন্দে ছিলেন তিনি। সেই ছন্দ ধরে রেখেছিলেন জাতীয় দলে এসেও।
ইতালির বিপক্ষে ফিনালিসিমায় পেয়েছিলেন গোল। এ ছাড়া আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগে মেসির পরই তাকেই সবচেয়ে ট্যালেন্টেড ফরোয়ার্ড ভাবা হয়। তাই আর্জেন্টিনার জন্য বড় এক দু:সংবাদই হয়ে আসলো দিবালার ইনজুরি।
এখন শেষ পর্যন্ত তাকে ছাড়াই আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ খেলতে হবে কি না , সেটা মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। অবশ্য আজ দিবালার ঊরুর একটি স্ক্যান করানোর কথা। সেই স্ক্যানের ফল পাওয়ার পরই জানা যাবে, কত দিন পর মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি।
মাস দেড়েক পরেই বিশ্বকাপ। এর মাঝেই আর্জেন্টিনা দলের মধ্যে ইঞ্জুরিতে পড়েছেন রোমেরো সহ অধিনায়ক মেসিও। মেসির ইনজুরি যদিও গুরুতর না। কিন্তু বহু বছর বাদে হট ফেবারিট হিসেবে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করার দ্বারপ্রান্তে টিম আর্জেন্টিনা। টানা ৩৫ ম্যাচ জয়ে একপ্রকার অপরাজেয় একটি দল হিসেবেই বিশ্বকাপে যাচ্ছে স্কলানির দল।
তবে ইনজুরির মিছিলে আরও কিছু কিছু খেলোয়াড় যুক্ত হয়ে গেলে বড় সড়ও এক পরীক্ষাতেই পড়ে যাবেন তিনি। কারণ চলতি মাসের শেষে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করার কথা। এখন ইনজুরির কারণে বড় নাম ছিটকে গেলে তাকেও নতুন করে ছক কষতে হবে। যেটি বিশ্বকাপ জয়ের চেয়েও কোন অংশে সহজ কাজ নয়।