মোহালিতে যেন এ দিন চার-ছক্কার এক বৃষ্টিই নেমেছিল। কাইল মেয়ার্স নামক এক ক্যারিবিয়ান ঝড়ে ম্যাচের শুরু। এরপর মার্কাস স্টয়নিস, নিকোলাস পুরানরা এ দিন রীতিমত বাউন্ডারির পসরা সাজিয়েছিলেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে। লখনৌর ব্যাটারদের এমন ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২৫৭ রানের রান পাহাড়ের বিপরীতে পাঞ্জাব কিংসের ব্যাটাররাও কম যাননি।
অর্থব তাইদি থেকে শুরু করে সিকান্দার রাজা, লিভিংস্টোনরাও পাঞ্জাবের হয়ে মারমুখী ব্যাটিংয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত লখনৌর ২৫৭ রানের পাহাড় আর টপকাতে পারেনি পাঞ্জাব কিংস। লখনৌর বিপক্ষে ৫৬ রানের পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
টসে হেরে এ দিন ব্যাটিংয়ে নেমে পাঞ্জাবের বোলারদের উপর এক প্রকার ঝড় বইয়ে দিয়েছিলেন কাইল মেয়ার্স। ক্যারিবীয় এ ওপেনারের ব্যাটিং তাণ্ডবে শুরুতে উড়ন্ত সূচনা পায় লখনৌ সুপার জায়ান্টস। যদিও অপর ওপেনার লোকেশ রাহুল থেমেছিলেন ব্যক্তিগত ১২ রানে। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে নিজের ঝড়ো ব্যাটিং ঠিকই অব্যাহত রেখেছিলেন কাইল মেয়ার্স।
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ২০ বলেই অর্ধ-শতক পূরণ করেন এ ক্যারিবীয় ব্যাটার। যদিও ফিফটি পূরণের পর বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি মেয়ার্স। ৭ চার আর ৪ ছক্কায় সাজানো ২৪ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন এ ওপেনার। মেয়ার্সের এমন ব্যাটিং তাণ্ডবের দিনে একই পথে হেঁটেছে লখনৌর বাকি ব্যাটাররাও।
আয়ুষ বাদোনি থেকে শুরু করে মার্কাস স্টয়নিস, নিকোলাস পুরান— যে-ই উইকেটে এসেছেন সে-ই দ্রুত গতিতে রান তোলার চেষ্টা করেছেন। আর সেই প্রচেষ্টায় সফলও হয়েছেন সবাই। মেয়ার্সের গড়ে দেওয়া লখনৌর ইনিংসের ভিত্তিকে আরো মজবুত করেন মার্কাস স্টয়নিস। ৬ চার আর ৫ ছক্কায় এ অজি ব্যাটার ৪০ বলে খেলেন ৭২ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস।
তার আগে আয়ুষ বাদোনি খেলেন ২৪ বলে ৪৩ রানের একটি ইনিংস। আর শেষ দিকে নিকোলাস পুরানের ১৯ বলে ৪৫ রানের ক্যামিওতে পাঞ্জাব কিংসকে ২৫৭ রানের বড় সংগ্রহ ছুঁড়ে দেয় লখনৌ সুপারজায়ান্টস।
২৫৮ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাঞ্জাব কিংস। ৩১ রানের মাঝেই ফিরে যান দুই ওপেনার প্রাভসিমরান সিং আর শিখর ধাওয়ান। যদিও নবাগত ব্যাটার অথর্ব তাইদির ব্যাটিংয়ে সেই বিপর্যয় কিছুটা কাটিয়ে ওঠে পাঞ্জাব। এ ব্যাটারের ৩৬ বলে ৬৬ রানের ইনিংস পাঞ্জাবের ইনিংসে কিছুটা প্রাণ সঞ্চার হয়। কিন্তু লখনৌর দেওয়া রান পাহাড় টপকাতে তো আর একটি ইনিংস যথেষ্ট নয়।
সিকান্দার রাজা ৩৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। লিয়াম লিভিংস্টোন আর স্যাম কারেনও দুটি ঝড়ো ইনিংস খেলেছিলেন। কিন্তু কেউ নিজের ইনিংসকে বড় করতে পারেননি। ফলত, লখনৌর দেওয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্যের পথেও এগিয়ে যাওয়াটা আর হয়ে ওঠেনি। ১৯.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে পাঞ্জাবের ইনিংস থামে লক্ষ্য থেকে রান ৫৭ দূরে, ২০১ রানে।