চিলির বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাছাইপর্বের শেষ ছয় ম্যাচের চারটিতেই হেরেছিল ব্রাজিল। সেই অর্থে সাম্প্রতিক দু:সময়ের মাঝে চিলির বিপক্ষে জয় সহজ ছিল না। আর সেখানে তফাৎ গড়েছেন ব্রাজিল ফুটবল দলের গোলরক্ষক এডারসন মোরায়েস। কিন্তু সেটা গোল বাচিয়ে নয়। বরং আক্রমনকে সচল রেখে।
বিষয়টা বোধহয় ধোয়াটে রয়ে গেছে। তখনও দ্বিতীয়ার্ধ্ব শেষ হতে মূল সময়ে আর দুই মিনিট। বল এডারসনের হাতে। ঈগল দৃষ্টিতে করে বসলেন একটা থ্রো। তাও আবার আক্রমনে গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলির দিকে।
খালি চোখে দেখে মনে হবে এ আর এমনকি! কিন্তু ম্যাচে ওই মূহুর্তে চিলির রক্ষণ কিছুটা আউট অব পজিশনে ছিল। ফলে মার্টিনেলির মাঝ মাঠ থেকে অপর প্রান্তে ছিল দৌড়াবার জন্য অবারিত মাঠ।
রক্ষণ আউট অব পজিশনের আরেক মানে হলো ওদিকে ফরওয়ার্ড লুইজ । এর মানে অবারিত মাঠে মাঝ মাঠ থেকে কিছুটা এগিয়ে একটি খুনে পাস বাড়িয়ে দিলেই গোল রক্ষক বনাম ফরোয়ার্ডের ওয়ান অন ওয়ানের সুযোগ। যা গোল করবারই নয় খেলার গতি নিজেদের দিকে রাখবারও এক মোক্ষম সুযোগ।
আজকের এ ঘটনা ছাড়াও এডারসনের পুরো খেলাতেই এ ছন্দ দেখা গেছে। আজকে ৪৯ পাসের মাঝে ৪৪ টি পাসই তার সঠিক ছিল। যা পরিসংখ্যানের হিসেবে প্রায় ৯০ শতাংশ সাফল্যের কথা বলে।
অন্যদিকে তিনি লং বল খেলেছেন ২০ টি। যার মাঝে ১৫ টি লং বলই তার সফল হয়েছে। যা পরিসংখ্যানে ৭৫ শতাংশ। মজার বিষয় হল, প্রথম গোল হজমটা নিভৃতেই করেছিলেন গোলরক্ষক এডারসন। ম্যাচ তাঁর সেই অর্থে কোনো সেভ নেই।
তবে, এডারসন সাফল্য পেয়েছেন আউটফিল্ডে । যা কিছুটা বৈপ্লবিকই বলা যায়। তবে এ আধুনিক ধারার ফুটবল নিঃসন্দেহে দলের সাফল্যের অন্যতম রহস্য।