মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটিং রিফ্লেক্স নষ্ট হয়ে গেছে, হ্যান্ড আই কম্বিনেশন নেই বললেই চলে। স্ট্রাইক রোটেট করতে পারেন না ঠিক মত। এমন কি এমন ম্যাচ খুঁজে পাওয়া কঠিন, যেখানে তিনি ফিল্ডিংয়ে বড় কোনো ভুল করছেন না। মাঠের মধ্যে তাঁকে লুকিয়ে রাখতে হয়।
এক সময় ফিনিশার ছিলেন। এখন তাঁর ক্যারিয়ারটাই ফিনিশ হওয়ার পথে। তাঁকে ওয়ানডে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ৩৭ বছর বয়সে তাঁর আবারও লড়াই করে দলে ফেরাটা খুবই কঠিন।
কার্যত তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতিই বলা যায় এই বাদ পড়াকে। যদিও, বাদ নয়, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্য সিনিয়র খেলোয়াড় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন।
তিনি জানান, আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ সেরা কম্বিনেশন তৈরি করার লক্ষ্যে অন্যান্য খেলোয়াড়দের পরীক্ষা-নিরিক্ষা করতেই বিশ্রাম দেয়া হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে।
সাবেক অধিনায়ক সুমন বলেন, ‘মাহমুদুল্লাহকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। সে একজন পরীক্ষিত ক্রিকেটার এবং তার দক্ষতার আর পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট খেলতে হলে প্রমাণ করতে হবে না তাকে। কিন্তু অন্য খেলোয়াড়দের নিজেদের প্রমাণ করতে হবে।’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে বাংলাদেশ দলে নতুন মুখ জাকির হোসেন। এছাড়াও দলে ফিরেছেন নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি।
মাহমুদউল্লাহর জায়গায় নেয়া হয়েছে ইয়াসিরকে। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের জায়গায় ইয়াসিরকে পরীক্ষা করতে চায় নির্বাচকরা। সদ্য শেষ হওয়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মাত্র ৭১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, দলের বিপদের সময় নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। পাশাপাশি তার স্ট্রাইক রেট ও বাজে ফিল্ডিংও উদ্বেগের বড় কারণ ছিল।
ইতোমধ্যে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী মাহমুদুল্লাহ। টি-টোয়েন্টি দলেও নিজের জায়গা হারিয়েছেন তিনি। এবার ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়ায় মাহমুদুল্লাহর ভবিষ্যত হুমকির মুখে পড়েছে।
সুমন অবশ্য তেমন মনে করছেন না। তিনি বলেন, ‘তাঁর (মাহমুদউল্লাহ) জায়গায় কাউকে যদি নিতে হয় তাকে পরীক্ষা দিতে হবে। এজন্যই বিশ্রাম দেয়া হয়েছে তাকে।’
সুমন রিয়াদের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। বললেন, ‘ইতোমধ্যে তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছেন মাহমুদুল্লাহ। এটি তার জন্য নতুন কিছু নয়। কিন্তু আমাদের কিছু বিকল্প তৈরি করতে হবে। কারণ আপনি কখনওই জানেন না টুর্নামেন্টের আগে এবং টুর্নামেন্টের মাঝখানে কি হতে পারে। কেউ ইনজুরিতে পড়তে পারে, কারো সমস্যা হতে পারে। তাই কিছু খেলোয়াড়কে প্রস্তুত রাখতে হবে।’