বিস্ময় বালক এন্ড্রিকের ‘আই লাভ ইউ’ ক্লজ!

‘আই লাভ ইউ’ – ছোট্ট একটা বাক্য। কিন্তু, তাঁর অর্থ কতটা গভীর। আবার সব সময় এই কথাটা না বলেই অনেক কিছু বলে ফেলা যায়। চোখের ভাষা ‍বুঝতে পারলে আর মুখে বলারই বা দরকার কি! এই যেমন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের বিস্ময় বালক এন্ড্রিক ফেলিপের কথাই ধরুন না।

তিনি এমন একটা সম্পর্কে জড়িয়েছেন সেখানে ‘আই লাভ ইউ’ বলা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ মানে, রীতিমত রিয়ালে আসার মত করে এখানেও চুক্তিপত্রে সাইন করেছেন তিনি।

সেখানে আছে বিশেষ একটা ক্লজ বা শর্ত! প্রেমিকা গ্যাব্রিয়েল মিরান্ডার সাথে তিনি যে চুক্তির বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন, সেখানে সাফ লেখা আছে – পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, কোনো ভাবেই একে অপরকে বলা যাবে না – ‘আমি তোমাকে ভালবাসি!’

কিন্তু, শর্ত দিয়ে কি আর সম্পর্ক হয়। রোম্যান্টিক সম্পর্ক কি আর বাঁধা মানে! মানবপ্রেমের আদি এই ধারণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের বিস্ময়বালক!

কয়েক মাস পরেই রিয়াল মাদ্রিদে পাড়ি জমাবেন এন্ড্রিক। এই মুহূর্তে পশ্চিমা গণমাধ্যমের তাঁর ব্যাপারে আগ্রহের শেষ নেই। তাই তো সামনে চলে এসেছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন।

১৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার স্বদেশী গণমাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের ব্যাপারে খোলাসা করেন। এন্ড্রিকের কথায় পরিষ্কার ২১ বছর বয়সী মডেল গ্যাব্রিয়েল মিরান্ডার সাথে তাঁর সম্পর্কটা একটু ভিন্ন রকম।

 

এক পডকাস্টে এন্ড্রিকে জানান, তাদের এই সম্পর্কে কেউই কোনো রকমের আসক্তিতে জড়াতে পারবেন না। ভালোবাসার অভিব্যক্তি সরাসরি প্রকাশ করা যাবে না। যদিও, মিরান্ডার ব্যাপারে এন্ড্রিকের বুকে ভালোবাসার কোনো কমতি নেই।

১৮ বছর বয়স হলেই তিনি যোগ দেবেন স্যান্তিয়াগো দি বার্নাব্যুতে। গেল মার্চেই এক প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলের হয়ে অভিষেকেই ইংল্যান্ডের জালে বল জড়ান। ফলে, তাঁর সামর্থ্যের ব্যাপারে ফুটবল বিশ্ব এরই মধ্যে ইতিবাচক একটা ধারণা পেয়ে গেছে।

তাঁর জন্য অপেক্ষায় আছে রিয়াল মাদ্রিদ, অপেক্ষায় আছেন মাদ্রিদ কোচ কার্লো অ্যানচেলত্তিও। কেননা ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে পাঁচ বার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা এই দলের এখন যোগ্য উত্তরসূরি প্রয়োজন। আর তাই সবাই ভরসা রাখতে চাইছে ব্রাজিলিয়ান এই তরুণের উপর।

এন্ড্রিক ইচ্ছে করলেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে পাড়ি জমাতে পারতেন। কেননা, চেলসির মত ক্লাব তাঁকে দলে ভেড়াতে আগ্রহী ছিল। তবে তিনি তাঁর স্বদেশী ভিনিসিয়াস জুনিয়র আর রদ্রিগোর সাথেই ইউরোপিয়ান ফুটবল জীবন শুরু করবেন।

রিয়ালের হয়ে অভিষেক না হলেও, বার্নাব্যুর মাঠে তাঁর অভিষেক হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। যদিও স্পেনের বিপক্ষে সেই ম্যাচ ৩-৩ গোলে ড্র করে ব্রাজিল।

তাঁরই সতীর্থ লুকাস পাকেতা তাঁর সম্পর্কে বলেন, ‘এন্ড্রিকের শক্তি আর গতি আমাকে রোনালদোর (নাজারিও) কথা মনে করিয়ে দেয়। সে এখনও অনেক তরুণ। আমি তুলনা করছি না। তবে তাঁর বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যা রোনালদোর সাথে মিলে যায়। সে একজন দারুণ ফুটবলার হওয়ার ক্ষমতা রাখে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link