চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা নিশ্চিত করতে ইংল্যান্ডকে জিততেই হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে, অন্যদিকে সেমিফাইনালে যেতে হলে অসম্ভবকে সম্ভব করতে হতো পাকিস্তানকে। কিন্তু সেটা আর হলো না, উল্টো ৯৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে মলিন মুখে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে বাবর আজমের দল।
অবশ্য টসে জিতে জস বাটলার ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতেই সেমিফাইনালের স্বপ্ন কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের। সেজন্যই হয়তো নতুন বলে ইংল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেনি পাক পেসাররা।
ফলে উড়ন্ত সূচনা পান দুই ওপেনার; পাওয়ার প্লেতেই ৭২ রান বোর্ডে জমা করেন তাঁরা। ডেভিড মালান আর জনি বেয়ারস্টোর ৮২ রানের সেই জুটির কল্যাণে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় দল।
তবে অল্প সময়ের ব্যবধানে তাঁরা আউট হলে খানিকটা স্বস্তি পায় পাকিস্তান। সেই স্বস্তিও অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। জো রুট, বেন স্টোকসের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের দখলে। দুজনেই তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি; ততক্ষণে দলীয় রান পেরিয়ে যায় ২০০ রানের গন্ডি।
যদিও পরপর দুই ওভারে স্টোকস আর রুটকে আউট করে ব্রেক থ্রু এনে দেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। কিন্তু রান তোলার গতি কমেনি একটুও। জস বাটলার, হ্যারি ব্রুকদের ক্যামিওতে ৩৩৭ রানের পাহাড়সম পুঁজি পায় ইংল্যান্ড।
রান তাড়ায় পাকিস্তান প্রথমেই হারায় আবদুল্লাহ শফিককে; রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই তরুণ। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ইনফর্ম ফখর জামানও আউট হন। ১০ রানের মধ্যে দুই উইকেটের পতন ঘটায় পাকিস্তানের জয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষীণ হয়ে যায়। সেসময় প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন বাবর আর রিজওয়ান।
কিন্তু ৩৮ রানের মাথায় বাবরের উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানের আশা শেষ করে দেন গুস এটিকসন। রিজওয়ানও পারেননি বড় ইনিংস খেলতে; ৩৬ রানেই থেমেছেন তিনি। এই উইকেটকিপার ব্যাটারের বিদায়ের পরে ব্যাটিং ধ্বস নামে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপে। সৌদ শাকিল, ইফতেখার আহমেদরা পারেননি বলার মত কিছু করতে।
এক প্রান্ত আগলে একাকী লড়াই চালিয়ে যান আঘা সালমান। তবে ক্যারিয়ারের চতুর্থতম হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর তাঁকেও ধরতে হয় সাজ ঘরের পথ। শেষপর্যন্ত ২৪৪ রানেই অলআউট হয় এশিয়ান প্রতিনিধিরা।