২০১৯ এর হেডিংলি টেস্ট থেকে ২০২৩ এর লর্ডস টেস্ট— স্টোকস বীরত্বের পুনরাবৃত্তির ইতিহাস যেন বারবার ডাকছিল। হেডিংলির সেই গর্জন এবার ফিরে এসেছিল লর্ডসের গ্যালারিতেও।
তবে শেষ পর্যন্ত আক্ষেপেই থেমেছে ইংল্যান্ডের জয়যাত্রা। স্টোকসের নিঃসঙ্গ লড়াই শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে পারেনি ইংল্যান্ডকে। অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে ৪৩ রানের জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
নিজেদের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করতে নেমে নতুন বলে স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সের তোপে একসময় মাত্র ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড।
তবে চতুর্থ দিনের পড়ন্ত বেলায় পঞ্চম উইকেটে বেন ডাকেট আর বেন স্টোকসের ৬৯ রানের নিরবচ্ছিন্ন জুটিতে সাময়িক বিপদ ঠেলে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় ইংলিশরা। শেষ দিন তাদের দরকার ছিল আরো ২৫৭ রান।
লর্ডসে শেষ দিনের সে রোমাঞ্চে শুরুটা ভালই করেছিল দুই ‘বেন’ জুটি। আগের দিনে যেভাবে শেষ করেছিলেন, ঠিক সেভাবেই যেন শুরু করেছিলেন ডাকেট আর স্টোকস। তবে অর্ধশতক পূরণের পর সেঞ্চুরির পথে হাঁটতে থাকা বেন ডাকেট ফিরে যান ব্যক্তিগত ৮৩ রানে।
ডাকেটের পর কিছুক্ষণ বাদে বিতর্কিত ‘রানআউট’ বিভ্রাটে আউট হয়ে ফিরে যান জনি বেয়ারস্টোও। আর এরপরেই ম্যাচের মোমেন্টাম পুরোপুরি ঘুরে যায় অজিদের দিকে।
যদিও সেই চাপের মুহূর্তেই অল আউট অ্যাটাকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বেন স্টোকস। তাতে ফলও মিলে দ্রুতই। স্টুয়ার্ট ব্রডকে সঙ্গে নিয়ে ইংল্যান্ডকে একাই এগিয়ে নিয়ে যান স্টোকস।
দারুণ আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পর ১৫০ ও ছুঁয়ে ফেলেন এ ব্যাটার। ২০১৯ অ্যাশেজের হেডিংলি টেস্টে স্টোকসের সেই বীরত্বের পুনরাবৃত্তির ঘটনা ফিরে আসছিল বারবার।
স্টোকস সেই পথে অনেকটা এগিয়েও গিয়েছিলেন। প্রায় পাহাড়সম লক্ষ্যের চূড়ায় ইংল্যান্ডকে নিয়ে যাচ্ছিলেন একাই। তবে দেড়শো পূরণের পর জশ হ্যাজলউডের বলে অ্যালেক্স ক্যারির গ্লাভস বন্দী হন তিনি।
ব্যক্তিগত ১৫৫ রানে বেন স্টোকস ফিরে যাওয়ার পরই মূলত পথ হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। সেখান থেকে ইংল্যান্ডকে উত্তরণের পথ দেখাতে পারেনি আর কেউ। উল্টো রানের ২৬ ব্যবধানে শেষ ৩ টি উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।
ফলত, ম্যাচ জয়ের আশা জাগিয়েও লক্ষ্য থেকে ৪৪ রান দূরে, ৩২৭ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস। এর মধ্য দিয়ে টানা দুই জয়ে এবারও অ্যাশেজ ধরে রাখার মিশনে এগিয়ে গেল অজিরা।