দেয়ালে এক প্রকার ঠেকে গিয়েছি পিঠ। জয় ব্যতিত দ্বিতীয় কোন বিকল্প ছিল না ইংল্যান্ডের সামনে। এমন পরিস্থিতিতে ভয়ংকরুপেই ‘ফাইটব্যাক’ করতে হয়। সেটাই করেছে জশ বাটলারের দল। বিশ্বকাপের রেকর্ড গড়ে জয় তুলে নিয়েছে ইংলিশরা।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হেরেছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচটা ভেসে গেছে বৃষ্টির জলে। পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। অন্যদিকে আরও দুই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে স্কটল্যান্ড দিচ্ছিল হুঙ্কার। ইংল্যান্ডকে জয় পেতেই হতো টুর্নামেন্টে টিকে থাকার জন্যে। সেই সাথে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দাপটাও দেখাতে হতো।
প্রতিপক্ষ হিসেবে ওমানকে পেয়েই যেন জ্বলে উঠল গোটা দল। নামিবিয়ার সাথে জিতলেও পয়েন্ট সমান হবে স্কটল্যান্ডের সাথে। ঠিক সেখানেই সামনে আসবে রানরেটের হিসেব-নিকেশ। সবকিছুই নেতিবাচকতায় ভরপুর। পুরো পরিস্থিতিকে ইতিবাচকতা রুপান্তরিত করতে ইংল্যান্ডের লেগেছে মোটে ১৯ বল।
টসে জিতে ওমানকে ব্যাটিংয়ের নিমন্ত্রণ দেয় ইংল্যান্ড। ওমানের অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইনআপকে শুরুতেই সামাল দিতে হয় জোফরা আর্চার ও মার্ক উডের গতির তাণ্ডব। তাতে করে মাত্র ২৫ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারায় আকিব ইলিয়াসের দল।
একমাত্র শোয়েব খান ছাড়া কোন ব্যাটারের রানই পৌঁছাতে পারেননি দুই অংকের ঘরে। সর্বোচ্চ ১১ রান করেছেন ওমানের ডানহাতি এই ব্যাটার। কেননা আর্চার ও উডের পর যে ওমানের দুলতে থাকা দূর্গে আদিল রশিদের ঘূর্ণি জাদু এসে আঘাত করে। তাতেই মাত্র ৪৭ রানে গুটিয়ে যায় ওমানের প্রতিরোধ। ৪ উইকেট শিকার করেন রশিদ। আর্চার ও উডের পকেটে গিয়েছে ৩টি করে উইকেট।
মঞ্চটা প্রস্তুত ছিল। দাপট দেখাবার কোন প্রকার সুযোগই ছাড়েনি ইংল্যান্ড। ইনিংসের প্রথম বল থেকেই বড় শট খেলতে শুরু করেন ফিল সল্টরা। মাত্র ৩.১ ওভারের মধ্যেই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংলিশরা। ২ উইকেটের পতনেও থামেনি ইংল্যান্ডের বুলডোজার। তাতেই বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়টাই পেয়েছে তারা। ১০১ বল হাতে রেখেই ইংলিশ তরী ভিড়েছে জয়ের বন্দরে।
ইংল্যান্ডের রানরেট এখন তিনের ঘরে। তাদের শেষ ম্যাচ নামিবিয়ার সাথে। অন্যদিকে স্কটল্যান্ডের শেষ ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সেই ম্যাচে অজিদের জয়ই প্রত্যাশা করবে হয়ত ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে নিজেদের ম্যাচটিতেও আরও একটি দাপুটে জয় ছিনিয়ে নিতে চাইবে। তবে আরও একটি বৃষ্টির বাঁধা, থমকে দিতে পারে পুরো ইংলিশ শিবিরকে।