গোল উৎসব করেই ইংল্যান্ডের এবারের বিশ্বকাপ যাত্রার শুরু। একেবারে শুভ সূচনা বলতে যা বোঝায় আরকি। ৬-২ গোলের বিশাল বড় জয় ইরানের বিপক্ষে। গ্যারেথ সাউথগেটের শীর্ষ্যরা উজ্জীবিত। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শুরুটায় বলার মত কিছুই নেই। গোল শূন্য একটা ড্র দিয়ে ক্রিস্টান পুলিসিচরা নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে।
স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বাকাপে টিকে থাকতে যুক্তরাষ্ট্র্যের এই ম্যাচে জয় পাওয়াটা ছিল অতীব প্রয়োজনীয়। সে লক্ষ্যেই খেলতে থাকে সার্জিনো ডেস্ট ও তাঁর সতীর্থরা। তবে ম্যাচে বলের দখল ধরে রেখেছিল হ্যারি কেনের দল। অন্যদিকে ইরান ওয়েলসকে হারিয়ে দিয়ে গ্রুপের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে। ইংল্যান্ডেরও যে খুব একটা স্বস্তির জায়গা ছিল তা নয়। কিন্তু ইংল্যান্ডের প্রথম ম্যাচের সেই তেজটার কোথাও একটা অভাব ছিল তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে।
বরং যুক্তরাষ্ট্র যখনই সুযোগ পেয়েছে ইংল্যান্ডের রক্ষণের পরীক্ষা নিয়েছে প্রথমার্ধে। রাহিম স্টার্লিংরাও আক্রমণ চালিয়েছে। কিন্তু প্রথম অর্ধে দুই দলেরই গোলবার থেকেছে অক্ষত। পরিচ্ছন্ন প্রথমার্ধে ইনজুরি টাইমের মাত্র এক মিনিট অতিরিক্ত খেলা হয়েছে। এরপর খেলোয়াড়রা চলে গেছেন ড্রেসিং রুমে, নতুন করে পরিকল্পনার ছক মাথায় এঁকে নিতে।
তবে তাতে ফলাফলে কোন পরিবর্তন আসেনি। দ্বিতীয়ার্ধেও বলার মত তেমন কিছুই ঘটেনি। তবে আক্রমণ আর প্রতিআক্রমণে মুখোর ছিল প্রতিটা মুহূর্ত। শুধু কাজের কাজ গোল, সেটার দেখাই পায়নি কোন দল। শেষ অবধি গোলশূন্য ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রকে। যদিও এই ড্রয়ের বদৌলতে ইংল্যান্ড পরবর্তী রাউন্ডে এক পা দিয়ে রাখল। সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় তাদের শেষ ম্যাচট ওয়েলসের বিপক্ষে।
সে ম্যাচে ইতিবাচক ফলাফল প্রত্যাশা করতেই পারে হ্যারি কেনরা। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার ম্যাচটি পরিণত হল এক অলিখিত নক আউট ম্যাচে। সে ম্যাচের জয়ী দল চলে যাবে পরবর্তী রাউন্ডে। তবে সে ম্যাচটিও ড্র হলে, ইরান চলে যাবে রাউন্ড অব সিক্সটিনে। পুলিসিচরা নিশ্চয়ই তেমনটা হতে দিতে চাইবে না। কিন্তু ইরানকে হেলা করবার সুযোগও নেই।
শেষ অবধি গ্রুপ বি থেকে কোন দুই দল পরবর্তী রাউন্ডের টিকিট পাবে সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে লড়াইটা যে জমে উঠেছে বেশ, সেটা নির্দ্বিধায় বলে দেওয়া যায়।