নিউজিল্যান্ডের জন্য এই ম্যাচ জিতে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিতের সুযোগ ছিল। অপরদিকে ইংল্যান্ডের জন্য ছিল সেমির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার লড়াই। এমন সমীকরণের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ২০ রানে হারিয়ে সেমির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল ইংল্যান্ড।
ব্রিসবেনে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলার। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ দুই ইংল্যান্ডের ওপেনার এদিন জ্বলে উঠেন। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের কুপোকাত করে পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে বিনা উইকেটে ৪৮ রান তোলেন তারা। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন ওপেনার অ্যালেক্স হেলস।
এরপরই স্পিনার মিশেল স্যান্টানারকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন তিনি। দলীয় ৮৪ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। তবে দুই ওপেনার ব্যতীত ইংল্যান্ডের বাকি ব্যাটাররা ছিলেন নিষ্প্রভ। অধিনায়ক জস বাটলার একপ্রান্তে দারুণ খেলতে থাকলেও অপর দিকে আসা যাওয়ার মিছিলে ছিলেন বাকিরা।
৪৭ বলে ৭৩ করে জস বাটলার ১৯তম ওভারে রানআউট হলে ইংল্যান্ডের ১৮০ পেরোনোর স্বপ্ন ভেস্তে যায়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৯ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস। অ্যালেক্স হেলস ও অধিনায়ক জস বাটলার বাদে অলরাউন্ডার লিয়াম লিভিংস্টোনই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেন। নিউজিল্যান্ডের লকি ফার্গুসন দুইটি উইকেট শিকার করেন।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় নিউজিল্যান্ড। পাওয়ার প্লের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ে। ছয় ওভার শেষে দলের রান দাঁড়ায় দুই উইকেটে ৪০। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন ও আগের ম্যাচের নায়ক গ্লেন ফিলিপস।
এ দুজনের ৯১ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে নিউজিল্যান্ড। দলীয় ১১৯ রানে ৪০ বলে সমান রান করে সাজঘরে ফেরেন কিউই অধিনায়ক। তবে আদিল রশিদের বলে ব্যক্তিগত ১৫ রানের সময় জীবন পাওয়া গ্লেন ফিলিপস ছিলেন ভয়ঙ্কর। জীবন পাওয়ার পর মাত্র ২৫ বলে অর্ধশতক তুলে নেন। অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনের পর উইকেটে আসা জেমস নিশাম ও ড্যারেল মিশেল দ্রুত আউট হয়ে গেলে ম্যাচ হেলে পড়ে ইংল্যান্ডের দিকে ।
শেষ তিন ওভারে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিলো ৪৯ রান। তবে ১৭তম ওভারে গ্লেন ফিলিপস ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে গেলে নিউজিল্যান্ডের জয়ের আশা নিভতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানে শেষ হয় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। নিউজিল্যান্ডের হয়ে গ্লেন ফিলিপস সর্বোচ্চ ৩৬ বলে ৬২ রান করেন।
এই জয়ে তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডও সমান পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটের ব্যবধানে গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছে।