৩৯ বছর বয়সেও অদম্য রোনালদো

বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সফল পেনাল্টি টেকার মানা হয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। ক্লাব ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সফলভাবে স্পট কিক থেকে গোল আদায় করে দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন তিনি। তবে চলমান ইউরোর শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ম্যাচ চলাকালীন পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হন রোলানদো।

নব্বই মিনিটে খেলা শেষ না হলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে পর্তুগালের সেই ম্যাচটি। তবে সেই অতিরিক্ত সময়েই দলের হয়ে স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন দলের তারকা খেলোয়াড় রোলানদো। তাঁর বাদিকে করা শটটি ঝাপিয়ে ঠেকিয়ে দেন স্লোভেনিয়ার গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক। এরপরেই দুই হাতে মুখ ঢেকে শিশুর মতো কাঁদতে থাকেন রোনালদো। যা দেখে তাঁর সতীর্থরাও শান্তনা দেবার ভাষা খুজে পাননা।

অতিরিক্ত সময়েও দুই দল কোনো গোলের দেখা না পেলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচটি। যেখানে পর্তুগালের হয়ে প্রথম শট নিতে আসেন রোনালদো। এবার আর কোনো ভুল করেননি দলের সেরা এই খেলোয়াড়।

পেনাল্টি শুটআউটের সময় রোনালদোর শারীরিক অবস্থা নিয়ে বেশ চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ফিটনেস ট্র‍্যাকার প্রতিষ্ঠান ‘হুপ’। যেখানে তাঁরা জানিয়েছেন যে টাইব্রেকারে শট নেওয়ার আগমুহূর্তে রোনালদোর হৃদস্পন্দন সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। প্রতি মিনিটে তাঁর স্পন্দন ১০০ বিপিএম এর আশেপাশে ছিল। তবুও তিনি বিচলিত না হয়ে তাঁর স্নায়ু ঠান্ডা রেখেছেন এবং গোল করেছেন।

পর্তুগালের হয়ে দ্বিতীয় শট নিতে এসে গোল করেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। আর এতেই রোনালদোর হৃদস্পন্দন ১২৫ বিপিএম হয়ে যায়। আর তৃতীয় শট থেকে সিলভা গোল করলে তা আরও বেড়ে ১৭০ এ উঠে যায়। অপরদিকে বিপক্ষ দলের পরপর তিনটি শট আটকিয়ে দেয় পর্তুগালের গোলরক্ষক দিয়াগো কস্তা। ফলে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রবেশ করে পর্তুগাল। সেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ কিলিয়ান এমবাপ্পের ফ্রান্স।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের সূত্র অনুযায়ী রোনালদো স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে হুপ ৪.০ মডেলের ফিটনেস ট্র‍্যাকার তাঁর কব্জিতে জড়িয়েছিলেন। যা ম্যাচ চলাকালীন সময়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার নির্ভুল তথ্য দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link