এতটা পথ পাড়ি দিয়েও ভারতের শেষ রক্ষা হল না। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এসে থামলো ম্যান ইন ব্লুদের এবারের যাত্রা। হলোনা ফাইনালের টিকেট কাটা, হলোনা কোটি কোটি ভক্ত সমর্থকদের স্বপ্নপূরণ। রোহিত শর্মার দলকে এবার শিরোপা জয়ের স্বপ্নকে অপূর্ণ রেখেই দেশের পথ ধরতে হবে। ম্যাচ শেষে ভারতীয় শিবিরকে এতটা পথ এসেও এই ধাক্কায় বেশ বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল।
ম্যাচ শেষে আনুষ্ঠানিকতা রক্ষা করতে রোহিত শর্মা ধীর পায়ে এগিয়ে এলেন। চলতি আসরে দলকে একটা ভাল সমাপ্তি এনে দেয়ার দায়িত্বটা অর্পিত ছিল তাঁরই কাঁধে। মলিন চেহারায় ব্যর্থতার ছাপ স্পষ্ট। যেন হারের ব্যাখ্যাই দিলেন এই অধিনায়ক।
রোহিত শর্মা বললেন, ‘আজ আমাদের যে পরিণতি হয়েছে তা বেশ হতাশাজনক। আমি মনে করি আমরা যে রান তাঁদের সামনে দিয়েছিলাম, সেখানে আমরা ভাল ব্যাটিং করেছি। কিন্তু আজ আমাদের বোলিং যথেষ্ট ভাল ছিল না। উইকেট এমন ছিলই না যেখানে একটি দল এসেই মাত্র ষোল ওভারে রান তাড়া করে ফেলতে পারে। আমরা আজকে বোলিং বিভাগে জ্বলে উঠতে পারিনি। নক আউট পর্যায়ে এসে গেম তখন চাপ সামলানোর উপর নির্ভর করে। খেলোয়াড়দের পারফর্ম্যান্সের উপরও নির্ভর করে। আপনি কাউকে চাপ সামলাতে শেখাতে পারবেন না।’
নিজ দলের ব্যর্থতা মাথা পেতে নিয়ে ভারতীয় অধিনায়ক আরও ব্যাখ্যা করেন, ‘এই ছেলেরা যখন আইপিএলে প্লে–অফ খেলে এবং সেই সব ম্যাচগুলি উচ্চ–চাপের খেলা হয়, তাঁরা তখন মোকাবেলা করতে পারে। আমরা যেভাবে বল দিয়ে শুরু করেছি তা আদর্শ ছিল না। আমরা একটু নার্ভাস ছিলাম। আমাদের ওপেনারদের ওপরও দায়টা আছে। তাঁরা (ইংল্যান্ড) সত্যিই ভাল খেলেছে। ভুবি (ভূবনেশ্বর কুমার) যখন প্রথম ওভারটি বোলিং করেছিল বল্য ঠিকি সুইং হয়েছিল, তবে সঠিক জায়গা থেকে নয়।’
ম্যাচে রান আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত। রোহিত বলেন, ‘আমরা কঠোরভাবে রান আটকাতে চেয়েছিলাম, তাঁদের রান নেয়ার জায়গা দিতে চাইনি। উইকেটের স্কয়ার অঞ্চল থেকে আজ রান এসেছে, আমরা এই বিষয়ে সচেতন ছিলাম। আমরা খুব করেই রান আটকাতে চাচ্ছিলাম, কিন্তু তারপরও ব্যাটাররা রান তুলেই যাচ্ছিল। আমরা মেনে নিচ্ছি যে আমরা আজ পারিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলাটাও কঠিন ছিল। কিন্তু সেদিন আমরা আমাদের মনোবল ধরে রাখতে পেরেছিলাম, পরিকল্পনা সঠিকভাবে কার্যকর করতে পেরেছি। কিন্তু আজ তা পারিনি।’
আদতে দায়টা রোহিতের নিজেরও কম নয়। সেমিফাইনালের মত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ২৮ বলে ২৭ রান করেন তিনি। এর জন্য বিসিসিআই যদি তাঁর অধিনায়কত্বও কেড়ে নেয় – তাতেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।