‘দ্রুততম’ টেস্ট অলরাউন্ডার

টেস্ট ক্রিকেটকে আমরা এক কথায় বলতে পারি পরীক্ষা। একজন ব্যাটসম্যান কিংবা বোলারকে তাঁদের কঠিনতম পরীক্ষাটা দিতে হয় এই টেস্ট ক্রিকেটে। ওদিকে একবার অলরাউন্ডারদের অবস্থাটা ভেবে দেখুন। একটা ক্রিকেট দলের সবচেয়ে বড় সম্পদ হতে পারেন তাঁদের অলরাউন্ডাররা। ব্যাট, বল দুই ডিপার্টমেন্টেই তাঁদের অবদান থাকে সমানে সমান।

এখনকার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অনেক মিনি অলরাউন্ডার থাকলেও টেস্ট ক্রিকেটটা ভিন্ন। এখানে নিজেকে অলরাউন্ডার হিসেবে প্রমাণ করতে হলে দুটিতেই হতে হয় পারদর্শী। ফলে টেস্ট ক্রিকেটে কমপক্ষে ২০০০ রান ও ২০০ উইকেটকে আমরা একটি মাপকাঠি হিসেবে ধরে নিচ্ছি। টেস্টে দ্রুত সময়ে এই কীর্তি যারা করেছেন তাঁদের নিয়েই আজকের আয়োজন।

  • রবীন্দ্র জাদেজা (ভারত)

রবীন্দ্র জাদেজা এই তালিকার পঞ্চম অলরাউন্ডার। ভারতের এই অলরাউন্ডার টেস্ট ক্রিকেটে নিজের ২০০০ রান ও ২০০ উইকেট পূরণ করতে খেলেছেন ৫৩ টি ম্যাচ। ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যকার অনুষ্ঠিত সম্প্রতি একটি টেস্ট ম্যাচে নিজের ২০০০ রান পূর্ণ করেন তিনি। তবে এই ম্যাচের আগে এই স্পিনারের ঝুলিতে ছিল ২২১ উইকেট। এছাড়া ৭৬ ইনিংসে ৩৫.৮০ গড়ে তাঁর ঝুলিতে এখন আছে ২০৪১ রান।

  • রবীচন্দ্রন অশ্বিন (ভারত)

ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা স্পিন বোলার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অশ্বিন। তবে ব্যাট হাতেও যখন সুযোগ পেয়েছেন তখনই নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। যদিও ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ তাঁকে সেভাবে কখনো ব্যবহারই করেনি। তবুও নিজের ৫১ তম টেস্ট ম্যাচে ২০০০ রান ও ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। সবমিলিয়ে ৫১ তম ম্যাচে তাঁর ঝুলিতে ছিল ২০০৪ রান ও ২৮৬ উইকেট। ব্যাট হাতে চারটি সেঞ্চুরিও করেছেন অশ্বিন।

  • ইমরান খান (পাকিস্তান)

পাকিস্তান ও বিশ্বক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা ক্রিকেটারদের একজন ইমরান খান। দেশটির সাবেক এই অধিনায়ক টেস্ট ক্রিকেটে ২০০০ রান ও ২০০ উইকেট নিয়েছেন তাঁর ৫০ তম ম্যাচে। ১৯৮৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এক টেস্টে  ৮৩ ও ৭২ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। সেই ম্যাচেই টেস্টে তাঁর ২০০০ রানের কোটা পূরণ হয়। সবমিলিয়ে ৫০ তম টেস্টে তাঁর ঝুলিতে ছিল ২৩২ উইকেট ও ২০০৮ রান।

  • কপিল দেব (ভারত)

ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অধিনায়কদের একজন কপিল দেব। দেশটি তাঁদের প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিল এই অধিনায়কের হাত ধরেই। ব্যাটে-বলে সমানতালে পারফর্ম করে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কপিল দেবও টেস্ট ক্রিকেটের এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ইমরান খানের সমান ৫০ টেস্টে। নিজের ৪৯ তম ম্যাচেই ২০০০ রান স্পর্শ করলেও ২০০ উইকেট পেয়েছিলেন নিজের ৫০ তম ম্যাচে। ৫০ টেস্ট ম্যাচ শেষে তাঁর ঝুলিতে ছিল ২১২৯ রান ও ২০০ উইকেট।

  • ইয়ান বোথাম (ইংল্যান্ড)

ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের একজন স্যার ইয়ান বোথাম। স্বাভাবিকভাবে এই তালিকারও সবার উপরে আছেন কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার। ইংল্যান্ডের সাবেক এই অলরাউন্ডাড় নিজের ২০০০ রান ও ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন মাত্র ৪২ টেস্টে। নিজের ৪২ তম টেস্ট ম্যাচেও ৯ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সবমিলিয়ে ৪২ টেস্ট শেষে ৩১.৯৫ গড়ে তাঁর ঝুলিতে ছিল ২০১৩ রান এবং ২০.৯৩ গড়ে ছিল ২১১ উইকেট।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link