দ্রুততম রানের পাহাড়

টি টোয়েন্টিতে সর্বদা ব্যাট করতে হয় আগ্রাসী ভঙ্গিমায়। ফলে বড় ইনিংস কিংবা ক্যারিয়ারে দুই হাজারের বেশি রান আছে - এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা খুব কম ক্রিকেটবিশ্বে। কিন্তু এরপরেও কয়েকজন আছেন যারা কিনা ধারাবাহিকভাবে রান করে গেছেন আপন নিয়মে।

টি টোয়েন্টিতে সর্বদা ব্যাট করতে হয় আগ্রাসী ভঙ্গিমায়। ফলে বড় ইনিংস কিংবা ক্যারিয়ারে দুই হাজারের বেশি রান আছে – এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা খুব কম ক্রিকেটবিশ্বে। কিন্তু এরপরেও কয়েকজন আছেন যারা কিনা ধারাবাহিকভাবে রান করে গেছেন আপন নিয়মে। আসুন দেখে নেয়া যাক টি টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কম ইনিংসে ২,৫০০ রান স্পর্শ করা পাঁচ ব্যাটসম্যানকে। 

  • মার্টিন গাপটিল – নিউজিল্যান্ড

আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টিতে বিধ্বংসী এক ওপেনারের নাম মার্টিন গাপটিল। বর্তমানে ফিন অ্যালেন – ডেভন কনওয়ে জুটির কারণে একাদশে নিয়মিত সুযোগ না পেলেও একসময় ব্যাট হাতে শাসন করেছেন ক্রিকেটবিশ্ব।

বিশেষ করে টি টোয়েন্টিতে তিনি যেন ভয়ংকর রূপ ধারণ করতেন, এই ফরম্যাটে রোহিত শর্মার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড তাঁর দখলেই। মাত্র ৮৩ ইনিংসেই তিনি পৌঁছে যান টি টোয়েন্টিতে আড়াই হাজার রান সংগ্রহকারীদের ছোট্ট তালিকায়। তাঁর চেয়ে কম ইনিংসে মাত্র চারজন ব্যাটার ছুঁতে পেরেছেন এই মাইলফলক। 

  • অ্যারন ফিঞ্চ – অস্ট্রেলিয়া

এবারের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ। এর আগে অস্ট্রেলিয়া তাঁদের ইতিহাসের প্রথম টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্বাদ পেয়েছে তাঁর হাত ধরেই। কেবল অধিনায়কত্ব নয়, ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে বিধ্বংসী ব্যাটিং এ প্রতিপক্ষের বোলিং এলোমেলো করে দিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার।

মাত্র ৭৮ ইনিংসেই এই ফরম্যাটে ২,৫০০ রান সংগ্রহ করেন তিনি। এখনো পর্যন্ত ১০২ টি টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নেমে দুই সেঞ্চুরি আর ১৮ হাফ সেঞ্চুরিতে তাঁর সংগ্রহ ৩,০৫৭ রান।

  • বিরাট কোহলি – ভারত

গত কয়েক বছরে ঠিক কোহলিসুলভ পারফর্ম করতে না পারলেও ঠিকই রান করে গেছেন বিরাট কোহলি। সম্প্রতি পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ৮৩ কিংবা আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরির মাধ্যমে জানান দিয়েছেন পুরনো রূপে ফিরে আসার।

আরো বেশ কয়েক বছর আগেই টি টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কম ইনিংসে ২,৫০০ রান সংগ্রহের রেকর্ড গড়েন তিনি। যদিও পরে সে রেকর্ড ভেঙে দেন বাবর আজম। এখনো পর্যন্ত ১১২ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ৩৮৬৮ রান। বলাই বাহুল্য অঘটন না ঘটলে খুব শীঘ্রই টি টোয়েন্টিতে চার হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করবেন তিনি।

  • মোহাম্মদ  রিজওয়ান – পাকিস্তান

মিডল অর্ডার থেকে ওপেনিং এ প্রমোশন পাবার পর থেকেই ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে আছেন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান। বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে।

মাত্র ৬৫ ইনিংসে টি টোয়েন্টিতে আড়াই হাজার রানের মাইলফলকে পৌছে ছাড়িয়ে যান বিরাট কোহলিকেও। এবারের বিশ্বকাপে খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে থাকা পাকিস্তান সেমিতে উঠার দৌড়ে আগামী ম্যাচগুলোতে তাকিয়ে থাকবে রিজওয়ানের ব্যাটের দিকে।

  • বাবর আজম – পাকিস্তান

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বিরাট কোহলির সাথে তুলনা করা হলেও টি টোয়েন্টির এই রেকর্ডে তাঁকে ছাড়িয়ে গেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। কোহলির ৬৮ ইনিংসের বিপরীতে মাত্র ৬২ ইনিংসেই ২৫০০ রান স্পর্শ করেন তিনি। গত বছর দুবাইতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৯ রানের ইনিংস খেলার পথে কোহলির এই রেকর্ড ভাঙেন তিনি।

কোহলির যেখানে আড়াই হাজার রানের পৌঁছুতে সময় লেগেছে প্রায় এক দশক, সেখানে মাত্র তিন বছরেই বাবর ছাড়িয়ে গেছেন তাঁকে। চিরায়ত ভঙ্গিমায় খানিকটা ধীরে ব্যাটিং শুরু করলেও সময়ের গড়ানোর সাথে সাথে উইকেটে দ্যুতি ছড়াতে শুরু করেন বাবর, পাকিস্তানকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন একা হাতে। ম্যাচের সংখ্যা ১০০ না পেরোলেও এরমাঝেই শতক পেরিয়েছেন দুইবার। বাবর ভবিষ্যতে কোহলি হতে পারবেন না কিনা তা নিয়ে দ্বিধা থাকলেও ক্রিকেটের ক্ষুদ্র এই সংস্করণে তিনি যে কোহলিকে ছাড়িয়ে যাবেন অদুর ভবিষ্যতে সেটা বলাই বাহুল্য।  

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...