আফগান ক্রিকেটের আন্ডাররেটেড চরিত্র তিনি। ওপেন করেন বলেই সেটা আরও মোক্ষম ভাবে বলা যায়। কারণ, তাঁকে যে খেলতে হয় স্বয়ং রহমানুল্লাহ গুরবাজের সাথে পাল্লা দিয়ে। গুরবাজের স্টারডমের আলোটা সামান্যই পড়ে ইব্রাহিম জাদরানের ওপর।
তারপরও যখন সুযোগ পান, তখনই পারফরম করে যান এই জাদরান। যেমনটা করলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে। রহমানুল্লাহ গুরবাজের সাথে ব্যাট করলেন পাল্লা দিয়ে। আর সেটা করতে গিয়ে আফগানদের উপহার দিলেন স্মরণীয় এক উদ্বোধনী জুটি।
১৫৪ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ওভার প্রতি রান নিয়েছেন ১০-এর বেশি করে। এর মধ্যে জাদরানের সংগ্রহ ৪৬ বলে ৭০ রান। ইনিংসে ছিল নয়টি চার ও একটি ছক্কা। পুরো ক্যারিয়াজুড়েই তিনি হয়তো থেকেছেন গুরবাজের নামের আড়ালে, তবে গায়ানার প্রভিন্স স্টেডিয়ামে এদিন তিনি জ্বলে উঠলেন আপন আলোতে।
আড়ালের নায়ক বলার কারণ, রহমানুল্লাহ গুরবাজের মত ইব্রাহিম জাদরানকে নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয়না। তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের হট কেক নন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) বা পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) এখনও তাঁর সুযোগ মিলেনি। ফ্র্যাঞ্চাইজির অভিজ্ঞতা বলতে খেলেছেন কেবল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ও আবুধাবির টি-টেন লিগ।
যদিও, উগান্ডার বিপক্ষে ম্যাচে সেই অনভিজ্ঞতা আলোচনায় আসল সামান্যই। একদম পরিপূর্ণ টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংই করেছেন ইব্রাহিম। ১৫২.১৭ স্ট্রাইক রেট সেটাই প্রমাণ করে।
ক্রিকেট বোদ্ধাদের অনেকেরই মতে, এবারের বিশ্বকাপের ডার্ক হর্স হয়ে উঠতে পারে এই আফগানিস্তান। আর নি:সন্দেহে আফগানদের এই নিজেদের প্রমাণের মঞ্চে তাঁদের অন্যতম তুরুপের তাস হয়ে উঠবেন ইব্রাহিম জাদরান। শুরুটা তো মন মতই হল। এখন বাকিটা সময় কেবল ফর্মটা ধরে রাখার পালা।