প্রায় দেড়মাসের ক্রিকেট যজ্ঞ শেষে পর্দা নেমেছে বিশ্বকাপের। অস্ট্রেলিয়া জিতে নিয়েছে তাঁদের ষষ্ঠ শিরোপা আর ঘরের মাঠে ভারত সাক্ষী হয়েছে বেদনা বিধুর এক দৃশ্যের। আর এই টুর্নামেন্টে কত ক্রিকেটারই মুগ্ধ করেছেন ভক্তদের, আবার কতজন হতাশও করেছেন। হতাশাজনক পারফর্ম করা এই ক্রিকেটারদের নিয়ে বিশ্বকাপের ফ্লপ একাদশ তৈরি করা যাক।
- জনি বেয়ারস্টো (ইংল্যান্ড)
সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের এবারের আসর ভাল যায়নি; ভাল যায়নি জনি বেয়ারস্টোরও। নয় ম্যাচ খেলে মাত্র ২১৫ রান করতে পেরেছেন তিনি; গড় ২৪ এরও নিচে। সেঞ্চুরি পাননি একটিও, সর্বোচ্চ স্কোর স্রেফ ৫৯।
- টেম্বা বাভুমা (দক্ষিণ আফ্রিকা)
কুইন্টন ডি কক, মার্করামরা যখন রান বন্যা সৃষ্টি করেছিলেন টেম্বা বাভুমা তখন ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করেছেন। ৮ ম্যাচ খেলে কেবল ১৪৫ রান করেছেন তিনি, গড় ১৮! শতক তো দূরে থাক, একবারের জন্য অর্ধশতকও পাননি এই ওপেনার। তবে অধিনায়ক হিসেবে সন্তোষজনক ছিলেন তাই কাল্পনিক এই একাদশের ক্যাপ্টেন তিনি।
- বাবর আজম (পাকিস্তান)
৩২০ রান করেছেন, চারটা ফিফটিও আছে তবু ফ্লপদের মাঝে বাবর আজমের নাম দেখে অবাক হবেন না অধিকাংশ ক্রিকেটভক্ত। কেননা নাম্বার ওয়ান ব্যাটার হিসেবে বিশ্বকাপ খেলতে আসা বাবরের ওপর যতটুকু প্রত্যাশা ছিল তার সিকিভাগও পূরণ হয়নি।
- জস বাটলার (ইংল্যান্ড)
ইংল্যান্ডের মতই দু:স্বপ্নের একটা বিশ্বকাপ কাটিয়েছেন দলটির অধিনায়ক জস বাটলার। ব্যাটিং লাইনআপের গুরুত্বপূর্ণ নাম হওয়া সত্ত্বেও নয় ম্যাচে ১৫.৩৩ গড়ে করেছেন ১৩৮ রান। পুরো টুর্নামেন্টে তাঁর সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৪৩।
- টম লাথাম (নিউজিল্যান্ড)
কেন উইলিয়ামসনের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছিল টম লাথামের। কিন্তু সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। ১০ ম্যাচে ১৫৫ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে, এর মাঝে দুই ম্যাচ মিলিয়েই করেছেন শতাধিক রান। যাহোক, এই একাদশের উইকেটকিপিং করবেন তিনি।
- সুরিয়াকুমার যাদব (ভারত)
৭ ম্যাচে ১০৬ রান, স্ট্রাইক রেট ১০০ – বিশ্বকাপে সুরিয়াকুমার যাদবের অবদান এতটুকুই। ব্যাটিং লাইনআপের ওপরের পাঁচজন সবাই রান পেলেও আকাশী-নীল জার্সিতে এই ডানহাতি ছিলেন সুপার ফ্লপ।
- শাদাব খান (পাকিস্তান)
পাকিস্তানের ব্যর্থতার বড় কারণ তাঁদের সহ-অধিনায়ক শাদাব খানের অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্স। ছয় ম্যাচ খেলে তিনি মাত্র দুই উইকেট শিকার করেছেন, বোলিং গড় ১১৮.৫০! আর ব্যাটিংয়ে তাঁর অবদান ১২১ রান।
- মাহিশ থিকসানা (শ্রীলঙ্কা)
মিস্ট্রি স্পিনার হিসেবে প্রত্যাশা বেশি থাকলেও ভারতের মাটিতে মাহিশ থিকসানা বলার মত কিছুই করতে পারেননি। ৬৩.৬৭ বোলিং গড়ে তিনি ছয় উইকেট পেয়েছেন, যদিও লোয়ার অর্ডারে তাঁর ব্যাটিং কিছুটা নজর কেড়েছে।
- মার্ক উড (ইংল্যান্ড)
গতির ঝড়ে ব্যাটারদের উড়িয়ে দিবেন এমন আশা নিয়েই হয়তো বিশ্বকাপে এসেছিলেন মার্ক উড। কিন্তু মাঠে তেমন কিছু দেখাতে পারেননি এই পেসার। সাত ম্যাচে তাঁর ঝুলিতে জমা হয়েছে কেবল ছয় উইকেট; এর বিনিময়ে ৩৪৯ রান খরচ করতে হয়েছিল।
- মুস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ)
আগের বিশ্বকাপে মুস্তাফিজুর রহমানের অর্জন ছিল ২০ উইকেট, দুইবার নিয়েছিলেন ফাইফারের স্বাদ। অথচ এবার পরিচিত কন্ডিশনে পাঁচ উইকেট পেতে খেলতে হয়েছে আট ম্যাচ।
- হারিস রউফ (পাকিস্তান)
১৬ উইকেট নিয়ে হারিস রউফ বিশ্বকাপের সেরা উইকেট সংগ্রাহকদের একজন। কিন্তু ফ্লপ একাদশে তাঁকে রাখতেই হচ্ছে খরুচে বোলিংয়ের কারণে। এক আসরে সর্বোচ্চ ৫৩৩ রান খরচ করেছেন এই ডানহাতি পেসার।