পর্দা নেমেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির, সবাই হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলে নিয়েছে ভারত। আর ঐতিহ্য মেনে অনেকরকমভাবেই তৈরি করা হয়েছে টুর্নামেন্টের সেরা একাদশের। তবে ফ্লপ একাদশ তৈরি না করলে আলোচনা কি আর জমে?
- রহমানউল্লাহ গুরবাজ (আফগানিস্তান) – উইকেটরক্ষক
আফগানিস্তান ব্যাটিং লাইনআপের সবচেয়ে বড় ভরসা ভাবা হয় রহমানউল্লাহ গুরবাজকে। কিন্তু তিনি সেই ভরসার প্রতিদান দিতে পারলেন কই? তিন ম্যাচে করেছেন মোটে ১৬ রান, ইংল্যান্ডকে হারালেও আফগানিস্তান যে সেমিফাইনালেতে খেলতে পারেনি সেটার খানিকটা হলে তাঁর দায়।
- ফিল সল্ট (ইংল্যান্ড)
এবারের আসরে তিন ম্যাচই হেরেছে ইংল্যান্ড, আর সেটার অন্যতম কারণ ফিল সল্টের ব্যাট হাতে ব্যর্থতা। সবমিলিয়ে মাত্র ৩০ রান করেছেন তিনি, অথচ তাঁর সঙ্গী বেন ডাকেট ছিলেন দারুণ ছন্দে।
- বাবর আজম (পাকিস্তান)
বাবর আজম রান করেছেন ঠিকই, দুই ম্যাচে ৮৭ রান একেবারে খারাপ নয়। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর ইনিংস ছিল স্বার্থপরতার অনন্য উদাহরণ। আর ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিনি ছিলেন ফ্লপ।
- মোহাম্মদ রিজওয়ান (পাকিস্তান)
অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবার বড় মঞ্চে এসে চাপ সামলাতে পারেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান। দলীয় ব্যর্থতার পাশাপাশি তিনি ব্যক্তিগতভাবেও হতাশ করেছেন সমর্থকদের৷ পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই স্ট্রাইক রেটে ৪৯ রান সেটারই প্রমাণ দেয়।
- মুশফিকুর রহিম (বাংলাদেশ)
সম্ভবত পুরো টুর্নামেন্টের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের একজন ছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু চোখ কপালে তোলার মত ব্যর্থতা উপহার দিয়েছেন তিনি। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হাঁকিয়েছেন গোল্ডেন ডাক, আর দ্বিতীয় ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে এক রানের বেশি করতে পারেননি। তাঁর ক্যারিয়ারের শেষটা তাই কল্পনার চেয়ে মলিন ছিল।
- জশ বাটলার (ইংল্যান্ড) – অধিনায়ক
অধিনায়ক হিসেবে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ভালো যায়নি জশ বাটলারের, ভালো যায়নি এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও। তিন ম্যাচে করেছেন ৮২ রান, যা কি না তাঁর নামের পাশে বড্ড বেমানান।
- মেহেদি মিরাজ (বাংলাদেশ)
সাকিব আল হাসান ছিলেন না, তাঁর জুতোয় পা গলানোর কাজটা চাইলে মেহেদি হাসান মিরাজ করতেই পারতেন। কিন্তু সুযোগ পেয়েও হেলায় হারিয়েছেন তিনি; দুই ম্যাচে মিডল অর্ডারে ব্যাট করেও তাঁর মোট সংগ্রহ ১৮ রান। আর বল হাতে সুপার ফ্লপ মিরাজ, পাননি একটা উইকেটও।
- রশিদ খান (আফগানিস্তান)
ফ্লপ একাদশে নাম উঠবে এমনটা বোধহয় দু:স্বপ্নেও ভাবেননি রশিদ খান। কিন্তু টুর্নামেন্ট জুড়ে তাঁর পারফরম্যান্স বাধ্য করেছে তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করতে। স্রেফ এক উইকেট পেয়েছেন তিনি, বিশ্বাস করা যায়? শুধু তাই নয়, গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ক্যাচও ছেড়েছেন এই লেগি!
- শাহীন শাহ আফ্রিদি (পাকিস্তান)
সাম্প্রতিক সময়ে ফর্ম ভাল যাচ্ছিলো না শাহীন শাহ আফ্রিদির; তবু ভরসা ছিল, আশা ছিল। কিন্তু কিসের কি, দুই ম্যাচে ৭১ গড়ে কেবল দুই তুলতে পেরেছেন তিনি। ইকোনমি আর স্ট্রাইক রেটের কতটা বেহাল অবস্থা সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
- মার্ক উড (ইংল্যান্ড)
পাকিস্তানের ফ্ল্যাট উইকেটে রাজ করতে পারতেন মার্ক উড, কিন্তু কিসের কি? উল্টো দু’হাতে রান বিলিয়ে দান বীর সাজতে চাইলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭৫ রান খরচের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে দিয়েছেন আট ওভারে ৫০! আর দুই ম্যাচে তাঁর অর্জন মোটে এক উইকেট।
- ফজলহক ফারুকী (আফগানিস্তান)
ব্যাটিং আর স্পিন দুই বিভাগেই আফগানিস্তানের মেইন ম্যান ব্যর্থ হয়েছেন। সেই ধারা বজায় রেখেছেন ফজলহক ফারুকী, পেস আক্রমণের নেতা হয়েও তিনি ইম্প্যাক্ট রাখতে পারেননি কোন ম্যাচে। ফ্লপ একাদশে তাই জায়গা পাওয়া নিশ্চিত ছিল তাঁর।