সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দারুণ এক মিল রয়েছে। না, সেটা অবশ্য রানের রেকর্ড ভাঙার দিক থেকে নয়। বরং কোচিং প্যানেলের দিক থেকে। হায়দ্রাবাদের কোচিং প্যানেলের প্রায় সবাই এক সময় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচিং করিয়েছেন।
চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) একের পর এক রানের পাহাড় গড়ে যাচ্ছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। অন্য দলের করা সর্বোচ্চ দলগত রানের রেকর্ড ভাঙা শেষ অনেক আগেই। এখন ছাড়িয়ে যাচ্ছে নিজেদেরকেও।
২৮৭ রান নিয়ে দলগত রানের তালিকায় শীর্ষে আছে প্যাট কামিন্সের দল। দ্বিতীয় স্থানটি তাদের দখলেই, সেখানে রয়েছে ২৭৭ রানের ইনিংস। আর ২৭২ রান নিয়ে তৃতীয় স্থা্নে আছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
বাংলাদেশের সাবেক কোচিং স্টাফ দিয়ে পূর্ণ সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের কোচিং প্যানেল। যেখানে হেড কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টরি, সহকারী কোচ সায়মন হেলমট, ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক, ট্রেইনার মারিও ভিল্লাভারায়ন। বেশ অনেক বছর বাংলাদেশের সাথে কাটিয়েছেন তাঁরা।
নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টরি বাংলাদেশ জাতীয় দলের স্পিন বোলিং কোচ ছিলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হাই পারফরম্যান্স দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান সায়মন হেলমট। আবার ফিল্ডিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন সাউথ আফ্রিকান কুক। শ্রীলঙ্কান ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়নও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ট্রেনিং করিয়েছেন।
অর্থাৎ বাংলাদেশের কোচিং প্যানেলটাই নিয়ে গিয়েছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। তবে হায়দ্রাবাদের মত একটা দলকে তাঁরা কিভাবে সহায়তা করবেন সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। কেননা, আইপিএলের এই মৌসুমে হায়দ্রাবাদ খেলছে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট। বরং ২০ ওভারের খেলায় প্রথম ১০ ওভারের জন্য তাদের সতর্ক থাকা উচিত।
তবে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ব্যাটাররা ‘সতর্ক’ শব্দটিই হয়তো ভুলে গিয়েছে। এখন অভিজ্ঞ কোচিং প্যানেল আর ভয়হীন ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে হায়দ্রাবাদ কতদূর আগাতে পারে সেটিই দেখার বিষয়।
একই সাথে আক্ষেপ করতে পারে বাংলাদেশ দলও। একই কোচিং সেট আপ দিয়ে যে ফল হায়দ্রাবাদ পাচ্ছে, বাংলাদেশ দল ধারের কাছেও যায়নি। এর অর্থ হল, সমস্যা মানসিকতা বা পরিকল্পনায় নয়। সমস্যাটা সামর্থ্যের। সত্যিই কি টি-টোয়েন্টির মান ধরে রাখার সামর্থ্য নেই বাংলাদেশ দলের?