চার বাংলাদেশির হতাশাময় এলপিএল

ফ্রাঞ্চাইজি লিগগুলোতে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। বলার মত শুধু সাকিব আল হাসানই বিশ্বের নামিদামী লীগে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করেন। যদিও চলমান লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) নিজেদের জাত চেনানোর সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশের চার ক্রিকেটার। তবে হতাশা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেননি তাঁরা।

মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ  এবং তাওহীদ হৃদয় ডাক পেয়েছিলেন এবারের এলপিএলে। দু:খজনক হলেও সত্য তাঁদের কেউই আহামরি কোনো পারফর্ম্যান্স দেখাতে পারেনি। বরং রান খরচে বেশ উদারতার পরিচয় দিয়েছেন বাংলার বোলাররা।

ডাম্বুলা সিক্সার্সের হয়ে প্রথম চার ম্যাচে ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। সেই চার ম্যাচেই হেরেছে তাঁর দল। প্রতি ম্যাচেই তিনি রান দিয়েছেন উজাড় করে। ১১.০৬ ইকনোমিতে বল করা এই বোলারকে ছাড়াই পরের ম্যাচে নামে ডাম্বুলা।

অপরদিকে তাঁর সতীর্থ তাওহীদ হৃদয় এক ইনিংসে রান আউটের শিকার হন। আর এর পরের চার ম্যাচে দর্শক বনে যান তিনি। তাঁর জায়গা নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার রিজা হেন্ড্রিকস।

কলম্বো স্ট্রাইকার্সে  হয়ে তাঁদের তৃতীয় ম্যাচে দলে জায়গা পান তাসকিন আহমেদ। উইকেট পেলেও রান খরচ করেছেন বেশ। প্রায় ১১ ইকনোমিতে বল করেছেন ডান হাতি এই পেসার। মোহাম্মদ ওয়াসিমের বদলে জায়গা পাওয়া এই ঢাকা এক্সপ্রেস আবার তাঁর কাছেই জায়গা হারান।

অবশ্য সবচেয়ে খরুচে বোলিং করেন বাঁ হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। তাঁর ইকনোমি রেট ১১.৬১ ছুয়েছে। উইকেটের দেখা পেয়েছেন প্রথম দুই ম্যাচেই। তবে এর পরের ম্যাচগুলোতে উইকেটের দেখা তো দূরে থাক, রান বিলিয়েছেন ইচ্ছে মত। ক্যান্ডি ফ্যালকনসের   বৃষ্টি বিঘ্নিত এক ম্যাচে হয় সাত ওভারের। সেই ম্যাচেও তাঁর কোনো ভরসা রাখতে পারেননি অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।

বাংলাদেশের পরিচয়কে আরো এক ধাপ উচুতে নিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছে। কিন্ত একে একে চারজন ক্রিকেটারই চলে গেলেন আলোচনার বাইরে। লঙ্কা লিগে থেকেও যেন অদৃশ্য হয়ে আছেন বাংলার টাইগাররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link