‘বাংলাদেশ সবচেয়ে দুর্বল দল’

ফ্রাঙ্কলিন রোজ কার্যত বাংলাদেশের পক্ষেই কথা বলতে চেয়েছিলেন। বাংলাদেশ সফরে যেতে না চাওয়া খেলোয়াড়দের এবং ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এক হাত দেখে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এটা করতে গিয়ে আবার বলে ফেলেছেন বেফাঁস এক কথা।

রোজ বলছেন, বাংলাদেশ এখন সবচেয়ে দুর্বল দল। তাই নিজের গড় বাড়ানোর জন্য হলেও সেরা খেলোয়াড়দের বাংলাদেশ সফরে আসা উচিত ছিলো।

বাংলাদেশ সফরে আসছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম সারির ক্রিকেটাররা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের আলাদা আলাদা স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই)। ওয়ানডে স্কোয়াডের আট জন ক্রিকেটার এবং টেস্ট স্কোয়াডের চার জন ক্রিকেটার রয়েছে অভিষেকের অপেক্ষায়।

সিরিজ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার, সহ-অধিনায়ক রস্টন চেজ, শাই হোপ, কাইরন পোলার্ড, শামার ব্রুকস, শেলডন কটরেল, এভিন লুইস ও শিমরন হেটমায়ার। ব্যাক্তিগত কারণ দেখিয়ে আসতে চাননি নিকোলস পুরান, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ও শেন ডওরিচ।

একই পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড সফর করে আসা খেলোয়াড়রা এখন বাংলাদেশ নিয়ে ভীত হয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন রোজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১৯ টেস্টে ৫৩ ও ২৭ ওয়ানডেতে ২৯ উইকেট নেওয়া রোজ বলছিলেন, ‘এই খেলোয়াড়রাই ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডে কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে গিয়েছে। আর এখন হঠাৎ বাংলাদেশ সফরের বেলায় তারা ভীত? খুব খারাপ। তারা করোনাভাইরাসের সমস্যার কথা বলছে, এখনো এই ক্রিকেটারদের অনেকে অস্ট্রেলিয়ায় খেলছে। সেখানে কি তারা আক্রান্ত হবে না?’

রোজ বলছেন, তাদের বোর্ড খুবই দুর্বল আচরণ করছে বলে খেলোয়াড়রা এরকম করার সাহস পেয়েছেন। এই সফরে না গেলে সমস্যা হবে না, খেলোয়াড়দের এই স্বাধীনতা দেওয়ার ঘোরতর বিরোধী রোজ। তিনি বলছিলেন, এই খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রন করা দরকার। আর সেটা না পারলে বোর্ড কর্মকর্তাদের সরে দাড়ানো উচিত বলে মনে করেন তিনি, ‘এই খেলোয়াড়দের কেউ যদি ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত দলের হতো, তখন তারা কি কোথায় যাবে বা কখন যাবে না, এটা বেছে নিতে পারতো? আমি কখনও ওই দলগুলোয় এমন দেখিনি। আমাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ খেলোয়াড় দরকার। বোর্ড যদি এদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পর্যাপ্ত শক্তিশালী না হয়, বোর্ড কর্তাদের সরে দাঁড়ানো উচিত।’

এরপরই রোজ বলেছেন, বাংলাদেশ এখন দুর্বলতম দল। এই দলটির বিপক্ষে নিজের পারফরম্যান্স ভালো করে নেওয়ার একটা সুযোগ দেখছেন তিনি, ‘আমি যদি ওই খেলোয়াড়দের একজন হতাম, আমি বাংলাদেশে যেতাম। দলটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে দুর্বল দল, তাদের বিপক্ষে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে নিজের গড় বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতাম।’

আগামী মাসের ১০ তারিখে ২ টি টেস্ট ও ৩ টি ওয়ানডে খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে ক্যারিবিয়ানরা। ১৮ জানুয়ারি বিকেএসপিতে ৫০ ওভারের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পর ২০ জানুয়ারি ১ম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে সিরিজ। ২২ জানুয়ারি ২য় ওয়ানডে ও ২৫ জানুয়ারি ৩য় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দুই ম্যাচ হোম অফ ক্রিকেট শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে জহুর আহম্মেদ চৌধুরি স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামে। সিরিজের সব গুলো ম্যাচই শুরু হবে দুপুর দুইটায়।

ওয়ানডে সিরিজ শেষে ২৮-৩১ জানুয়ারি চার দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে ১ম টেস্ট ও ১১ ফেব্রুয়ারি মিরপুরে ২য় টেস্ট শুরু হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link