সবার নজর আপাতত অস্ট্রেলিয়া-ভারত পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে। তবে ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর ও প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার কিন্তু কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সাদা বলের দল গোছাতে। আগারকারকেও গম্ভীরের সাথেই অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে বলা হয়েছে। যেন আগামী দুই মাস বেশ কাছ থেকে কোন খেলোয়াড় কোন ফরম্যাটে ভালো করতে পারে তা পর্যবেক্ষন করতে পারেন।
ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোয়াইট ওয়াশ লজ্জার পরেই নড়েচড়ে বসেছে বোর্ড অফ কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। ট্রানজিশন পিরিয়ডটা তাই ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। বিসিসিআইয়ের এক বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, ‘এই ব্যাপারটায় গম্ভীর, আগারকার দুইজনেই এক মত। সাম্প্রতিক কিছু নির্বাচনে কিছুটা সম্বনয়হীনতা ছিল, যা এখন আর নেই।’
গম্ভীর, আগারকাররা জানেন এধরণের পারফরম্যান্স ভারতে প্রচুর নেতিবাচক মন্তব্যর জন্ম দিবে, যা যৌক্তিত। যেহেতু এটি লম্বা একটি সফর তারা একত্রে বসে এই সমস্যার সমাধান খুজবেন হয়ত খুব দ্রুতই।
বিশ্বস্ত সূত্রটি আরো বলেছে, ‘তাদের দুইজনের অন্তত বছর দেড়েক সময় লাগবে ভালো বিকল্প অপশন সহ একটা দল গুছাতে। এই জন্যই তাদের দুইজনের চিন্তাভাবনা এক হওয়া অত্যন্ত জরুরি।’ আরও জানা গেছে, তাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হবে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সাথে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলাপ করা।
বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, রবীচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজাদের বয়সটা ৪০ ছুঁই ছুঁই। তবে তারা এখনো দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই তাদের পরবর্তী টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা জানাটা প্রয়োজন।
এই টেস্ট সিরিজ শেষ হবার পর সীমিত সময়ই পাওয়া যাবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য। প্রস্তুতির জন্য ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩টা ওয়ানডে আর ৫টা টি-টোয়েন্টিই পাচ্ছে ভারত।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য সেরা দলটাই খুঁজছে রোহিত-গম্ভীর। গম্ভীর টি-টোয়েন্টির জন্য আলাদা টি-টোয়েন্টি স্পেশালিষ্ট দলই গঠন করতে চান। তবে সেখানে বাঁধা অবশ্য আছে।
যশস্বী জয়সওয়াল, ঋষাভ পান্ত,জাসপ্রিত বুমরাহ, শুভমান গিলরা খেলেন একাধিক ফরম্যাট। তাদের বাদ রেখে টি-টোয়েন্টি দল সাজানোও কিন্তু বেশ মুশকিল হবে। সেই হিসেবে কিভাবে পরবর্তীতে দলটা সাজায় সেটিই এখন দেখার বিষয়।
ভারতীয় ক্রিকেট এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। ট্রানজিশন পিরিয়ডের এই সময়টা যেন নতুন বীজ বপনের মতো, যার ফল পেতে অপেক্ষা করতে হবে। গৌতম গম্ভীর ও অজিত আগারকার মিলিতভাবে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছেন, যেখানে সাদা বলের ক্রিকেটে দলটা আবার সেরা হয়ে উঠবে। পুরনো অভিজ্ঞদের সঙ্গে তরুণদের মিশেলে দল গঠনের চ্যালেঞ্জটা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিসিসিআইয়ের এই উদ্যোগ যেন এক নতুন যুগের সূচনা।