দু’দিন বাদেই মাঠে গড়াবে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। সময় আর বেশি নেই। করোনা পরবর্তী সময়ে এই টুর্নামেন্ট দিয়েই দেশের প্রায় সব ক্রিকেটাররা খেলায় ফিরছেন তাই এই টুর্নামেন্টের প্রতি রয়েছে সবার আলাদা নজর। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম তারুন্য নির্ভর ব্যালেন্সড দল গড়েছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের সবচেয়ে শক্তির দিক হলো তাদের দলের সিংহভাগ খেলোয়াড়েরই আছে জাতীয় দলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা।
- ব্যাটিং
টুর্নামেন্টে কাগজে-কলমে সবচেয়ে শক্তিশালী উদ্ভোধনী জুটি গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের। লিটন-সৌম্যর উদ্ভোধনী জুটির উপর নির্ভর করবে চট্টগ্রামের ব্যাটিং সফলতা! লিটন-সৌম্যর ডান-বাম কম্বিনেশনও বিপক্ষ দলের মাথাব্যথার কারন হতে পারে। দুজনেই খুব দ্রুত রান তুলতে পারেন। পাওয়ার প্লের ব্যাবহারটা তাদের থেকে ভালো কম ব্যাটসম্যানই করতে পারবেন।
দুজনেই সেট হয়ে গেলে বিপক্ষ দলের জন্য হয়ে উঠবেন ভয়ংকর আর দুজনেই এখন বেশ অভিজ্ঞ। নাম্বার থ্রি পজিশনে থাকবেন টেস্ট ক্যাপ্টেন মমিনুল। তারপরে ব্যাটিং অর্ডার এ আছেন গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের অধিনায়ক মিথুন, ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ সেনানী শামসুর রহমান শুভ এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দলের ব্যাটিং এ ফিনিশিং টাচ দেয়ার জন্য আছেন জিয়াউর রহমান। এদের কেউ ব্যর্থ হলে ব্যাকআপ হিসাবে আছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ বিজয়ী মাহমুদুল হাসান জয়, সৈকত আলী, নাহিদুল ইসলাম।
- এক নজরে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম
স্কোয়াড: মোস্তাফিজু রহমান, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিথুন (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শরিফুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, তাইজুল ইসলাম, শামসুর রহমান, নাহিদুল ইসলাম, মো. সৈকত আলী, মুমিনুল হক, রাকিবুল হাসান, সঞ্জিত সাহা, মাহমুদুল হাসান জয় ও মেহেদি হাসান।
কোচ: মোহাম্মদ সালাউদ্দিন
- বোলিং
দলে আইকন খেলোয়ার হিসাবে আছেন বাহতি সিমার মোস্তাফিজুর রহমান। তার সাথে আছে আরেক বাহাতি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দারুন বোলিং করা শরিফুল ইসলাম। তৃতীয় পেসার নতুন মুখ মেহেদী হাসান। তাই চাপ থাকবে মুস্তাফিজ-শরীফুলের উপর। টুর্নামেন্ট চলাকালে কারো ইনজুরি বিপাকে ফেলবে চট্টগ্রামকে। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের স্পিন আক্রমনও দারুন শক্তিশালী।
স্পিন বিভাগে তাইজুলের উপরই প্রধান ভরসা চট্টগ্রামের। এছাড়া আছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ বিজয়ী বাহাতি স্পিনার রকিবুল ইসলাম এবং অফ-স্পিনার সঞ্জিত সাহা। ব্যাকআপ বোলার হিসাবে আছে সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন, সৈকত আলী এবং জিয়াউর রহমান।
দলের সবচেয়ে শক্তিশালী দিক দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দক্ষ। আর গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের দুর্বল দিক হলো তাদের খেলোয়াড়দের ধারাবাহিকতা। সবাই জানি লিটন, সৌম্য, মিঠুন, মোসাদ্দেক, মোস্তাফিজরা নিজেদের দিনে কতটা ভয়ংকর হতে পারে কিন্ত তাদের প্রায় সবার একটাই সমস্যা এবং তাহলো তাদের ধারাবাহিকতা।
মোহাম্মদ মিথুনকে অধিনায়কত্ব দেয়া নিয়ে সমালোচনায় পড়েছে দলটি। অধিনায়কত্বের ভার বয়ে মিথুন ব্যাট হাতে নিজেকে কতটা প্রমাণ করতে পারবেন সেটাই ভাবনার বিষয়। তবে অধিনায়ক মিথুনের দুর্বলতা দূর করে দেবার মত ক্ষমতা আছে চ্যাম্পিয়ন কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের। খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সেরাটা বের করে দলকে চ্যাম্পিয়ন করার ইতিহাস কথা বলবে দেশসেরা এই কোচের পক্ষে।