ঘরের মাঠে ইউরো, ধুঁকতে থাকা জার্মানি ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য পাখির চোখ করেছিল এই টুর্নামেন্টকে। অথচ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেই পরাজয়ের স্বাদ পাওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল তাঁরা, তবে নিকলাস ফুলক্রুগ ছিলেন বলে রক্ষে। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে গোল করে দলকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন করেছেন তিনি।
নক আউট নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এদিন দুই দল মাঠে নেমেছিল ভিন্ন দুই ছকে। জার্মানি বরাবরের মতই ৪-২-৩-১ ফরমেশনে একাদশে দল সাজিয়েছিল; দলটির পরিকল্পনা ছিল মিডফিল্ড থেকে উইং হয়ে আক্রমণে উঠার। অন্যদিকে সুইজারল্যান্ড সোজাসুজি খেলার চেষ্টায় একাদশ সাজিয়েছিল ৩-৪-২-১ ফরমেশনে, মাঝ মাঠে আধিপত্য বিস্তারের ইচ্ছে স্পষ্ট হয়েছে তাতেই।
অবশ্য সতেরো মিনিটের মাথায় এগিয়ে যেতে পারতো জার্মানরা। রবার্ট অ্যান্ড্রিচ গোল করে উদযাপনে মেতে উঠেছিলেন বটে, কিন্তু ফাউলের অজুহাতে সেই গোল বাতিল করেন রেফারি। নাটকীয়তার মিনিট দশেক পরেই সুইসদের সফলতা মেলে। মিডফিল্ডার ফ্যাবিয়ান রিয়েডার আর রেমো ফ্রিউলার দারুণ দক্ষতায় গোলের সুযোগ তৈরি করে দেন। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্কোরলাইনে পরিবর্তন আনেন ড্যান ডয়ী।
প্রথমার্ধের বাকি সময় স্বাগতিকরা বলার মত কিছু করতেই পারেনি। তবে বিরতির পর কিছুটা নড়েচড়ে বসে তাঁরা, কিন্তু কিছুতেই সুইজারল্যান্ডের আঁটসাঁট ব্যাকলাইন ভাঙ্গতে পারেনি জামাল মুসিয়ালারা।
কাউন্টার অ্যাটাকে সুইজারল্যান্ডও বেশ কয়েকবার পরীক্ষা নিয়েছিল ম্যানুয়েল নয়্যারের। কিন্তু প্রতিবারই তিনি পরীক্ষায় উতরে গিয়েছেন দারুণভাবে, শেষমেশ ম্যাচের ৯২ মিনিটের সময় আসে কাঙ্খিত সেই মুহূর্ত। ডেভিড রামের ক্রস থেকে হেডে বল জালে জড়ান ফুলক্রুগ, তাতেই মূল্যবান এক পয়েন্ট পায় নাগেলসম্যানের শিষ্যরা।
ড্রয়ের সুবাদে অবশ্য দুই দলই জায়গা করে নিয়েছে সেরা ষোলোতে। এ রাউন্ডে কে হবে তাঁদের প্রতিপক্ষ সেটা জানতে আপাতত গ্রুপ ‘সি’ এর দিকে তাকিয়ে আছে তাঁরা।