জার্মান শেফার্ড কিংবা জার্মানি ফুটবল দল হিংস্রতায় কেউ কারো থেকে কম নয়। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে ছিড়েখুঁড়ে খাওয়া কিংবা পরের ম্যাচে আর্জেন্টিনার হৃদয়ে আঘাত; বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তদের কাছে জার্মানরা তাই আতঙ্কের নাম। এবার সেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্কটল্যান্ডেও, ২০২৪ ইউরোর উদ্বোধনী ম্যাচে তাঁদের স্রেফ গুঁড়িয়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা।
ঘরের মাঠে খেলতে নেমে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে মোটেই সময় নেয়নি তাঁরা, দশ মিনিটের মাথায় ফ্লোরিয়ান উইর্টজ খুঁজে নিয়েছিলেন প্রতিপক্ষের জাল। নিজেদের গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টায় থাকা স্কটিশরা পরের দশ মিনিটে আবারো গোল হজম করে বসে। বিরতির ঠিক আগে কাই হাভার্টজ স্পট কিক থেকে ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে কোন ভুল করেননি। ফলে প্রথমার্ধ শেষে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় জার্মানি।
এখানেই আসলে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়। তাঁদের আধিপত্যের সামনে আসলে কিছুই করার ছিল না স্কটল্যান্ডের; দ্বিতীয়ার্ধেও সেই চিত্র বদলায়নি। উল্টো বদলি হিসেবে মাঠে নামা নিকলাস ফুলক্রুগ আর এমরি চ্যান একবার করে উদযাপনের উপলক্ষ তৈরি করেছিলেন পরের অর্ধে।
ভাগ্যের সহায়তা না পেলে অবশ্য পরাজয়ের তিক্ততা আরো বাড়তো স্কটিশদের। একটি গোল ও একটি পেনাল্টি বাতিলের সিদ্ধান্ত তাঁদের পক্ষে গিয়েছিল; এছাড়া অ্যান্টনি রুডিগার উপহার দিয়েছেন একটি আত্মঘাতী গোল।
৭৩ শতাংশ সময় বল দখলে রেখেছিল ডাই ম্যানশ্যাফটরা, দশবার প্রতিপক্ষের গোলমুখে শট নিয়েছিল তাঁরা বিপরীতে হজম করেনি একটিও। এছাড়া কর্ণার পেয়েছে পাঁচটি কিন্তু একবারও দেয়নি – পুরো ম্যাচ জুড়ে দলটি কতটা নির্দয় ছিল তা পরিসংখ্যানেই ফুটে উঠেছে। অবশ্য দু’দলের শক্তিমত্তা বিবেচনায় এমনটা প্রত্যাশিত ছিল, একদিকে তিনবারের ইউরো চ্যাম্পিয়ন অন্যদিকে কেবল তৃতীয়বারের মত ইউরো খেলতে আসা একটা দেশ!
মাঝে লম্বা একটা সময় দুঃস্বপ্নের মত কাটিয়েছিল চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ২০১৮ বিশ্বকাপে শোচনীয় পারফরম্যান্সের পর থেকেই একরকম ছায়া হয়েছিল তাঁরা, তবে জুলিয়ান নাগেলসম্যানের অধীনে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে রাখলো। এখন দেখার বিষয় প্রত্যাবর্তনে কতটা ধারাবাহিক হতে পারে ম্যানুয়েল নয়্যারের দল।