গেল আসরের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। সবার সাথে ছিল স্পষ্ট ব্যবধান। তবে, সেই দলের কলংক একটাই। দলের মূল স্ট্রাইকার অলিভার জিরুদ ছিলেন গোলশূন্য। তাই, এই বিশ্বকাপে থাকবেন কি না, তা নিয়ে একটা গুঞ্জন ছিলই।
তবে, জিরুদ থাকলেন। আর সাথে তিনি ফিরলেন গোলমেশিন হয়েই। কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই গোলবন্যার নজীর গড়ল দিদিয়ের দেশ্যমের ফ্রান্স দল। আর সেখানে নেতৃত্বই দিলেন অলিভার জিরুদ। জোড়া গোল করলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফ্রান্স জিতল ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে।
টুর্নামেন্টের শুরুতে একগাদা ইনজুরি নিয়ে ভয়েই ছিল ফ্রান্স। এই জয়ে সেই ভয় কিছুটা হলেও কমল বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
যদিও, ম্যাচের শুরুর দিকে ভয় পেয়েছিল ফ্রান্স। ম্যাচের তখন মাত্র ৯ মিনিট। ক্রেগ গুডউইনের গোলে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। ফ্রান্সের রক্ষণ শুরুতেই বিপদ আনল। তবে, ফ্রান্স দ্রুতই নিজেদের ম্যাচে ফেরায় দ্রুতই। ২৭ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান আদ্রিয়েন র্যাবিয়ট।
সেখান থেকে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। বরং সকারুজদের ওপর জেঁকে বসে ফরাসীরা। প্রথমার্ধেই তাঁরা ব্যবধান গড়ে। ৩২ মিনিটে দেশের জার্সিতে গোলের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন জিরুদ। বক্সের মধ্যে অনবদ্য পাসটা দেন প্রথম গোলদাতা আদ্রিয়েন ব়্যাবিয়টের।
এরপর মুহুর্মুহ আক্রমণ করলেও গোল আসছিল না ফ্রান্সের। ৬৮ তম মিনিটে গিয়ে অচলায়তন ভাঙেন পিএসজি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। এর তিন মিনিট পর দলের হয়ে তৃতীয় গোল ও নিজের দ্বিতীয় গোল করে ফরাসি তারকা থিয়েরি অঁরির রেকর্ড ছুঁলেন অলিভার জিরুদ। ৫১ টি গোল নিয়ে এখন এই দু’জন যৌথ ভাবে ফ্রান্সের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
রোববার ফ্রান্সের খেলা ডেনমার্কের সাথে। সেখানেই অঁরিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকছে জিরুদের।
ম্যাচটা অবশ্য আরেকটা অর্জনের জন্য স্মরণীয় জিরুদের জন্য। হুগো লরিসের সাথে সবচেয়ে বেশি বয়সে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করার কীর্তি গড়েন তিনি।
এদিন জিরুদের বয়স ছিল ৩৬ বছর ৫৩ দিন। আর গোলরক্ষক হুগো লরিসের ৩৫ বছর ৩৩১ দিন। এর আগে ৩৫ বছর ১১ দিনে বিশ্বকাপে ফ্রান্সের হয়ে খেলার নজীর ছিল কিংবদন্তিতুল্য গোলরক্ষক ফ্যাবিয়েন বার্থেজের।