রিশাদ হোসেন, স্বপ্ন দেখানো পারফরমার

বাংলাদেশ ক্রিকেটে লেগ স্পিন সোনার হরিণের মতই দুর্লভ। বছরের পর বছর খোঁজাখুঁজি করেও আন্তর্জাতিক মানের কাউকে পাওয়া যায় না, তবে এই আক্ষেপ খানিকটা কমেছে রিশাদ হোসেনের মাধ্যমে।

ঘরোয়া ক্রিকেট বা বয়সভিত্তিক পর্যায়ে নিজেকে প্রমাণ করার আগেই জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি; আহামরি কিছু করতে না পারলেও ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের বদৌলতে একাদশের অংশ বনে গিয়েছেন।

ব্যতিক্রম হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও, মাঝের ওভারে প্রশংসনীয় বোলিং করেছেন এই বোলার। যদিও আগের ম্যাচে দুই ওভার বল করে আর আক্রমণে আসেননি এই বোলার, মনে হচ্ছিলো অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বুঝি ভরসা করতে পারছেন না তাঁর ওপর। তবে সেই সংশয় উড়িয়ে দিয়ে দুর্দান্ত একটা স্পেল উপহার দিলেন তিনি।

এদিন চার ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ২১ রান খরচ করেছেন এই লেগি, বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ দুই দুইটি উইকেট। তাঁর এমন পারফরম্যান্সের কারণেই উড়ন্ত সূচনা পাওয়া স্বাগতিকরা হোঁচট খেয়েছিল। অর্থাৎ প্রত্যাশিত দায়িত্বটাই পালন করতে পেরেছেন তিনি।

পাওয়ার প্লেতে কোন উইকেট না হারিয়েই ৪২ রান তুলেছিল৷ মার্কিন প্রতিনিধিরা। এরপরই রিশাদকে বোলিংয়ে আনেন নাজমুল শান্ত সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে মোটেই সময় নষ্ট করেননি তিনি। চতুর্থ বলেই ওপেনার স্টিভেন টেইলরকে তানজিদ তামিমের ক্যাচ বানিয়ে প্যাভিলিয়ন ফেরান। পরের বলটা আরো অসাধারণ, ফলাফল আরো একটা উইকেট।

প্রথম ওভারে এক রান খরচ করার পর অবশ্য পরের দুই ওভারে খানিকটা খরুচে বোলিং করেছেন এই ডানহাতি। কিন্তু ব্যক্তিগত শেষ ওভারে আবারো পুষিয়ে দেন সব, সে দফায় মোটে ২ রান আদায় করতে পারে ব্যাটাররা।

লাল-সবুজের জার্সিতে এখনো রিশাদ হোসেন নতুন; তাঁর সামনে পড়ে আছে সুদীর্ঘ পথ। রশিদ খান, যুজবেন্দ্র চাহালও ক্যারিয়ারের শুরুতে খুব বেশি ভয়ঙ্কর ছিলেন না; সময়ের সাথে সাথে বিশ্বসেরা হয়ে উঠেছেন তাঁরা – টাইগার তারকাও তাঁদের অনুসরণ করবেন নিশ্চয়ই, তাঁর ধারাবাহিকতা অন্তত এমন স্বপ্নই দেখায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link