পান্ডিয়া ভাতৃদ্বয়ের লড়াইয়ে হার্দিক শীর্ষে

ঋদ্ধিমান সাহা আর শুবমান গিলের ১৪২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ২২৭ রানের বিশাল সংগ্রহের পর লখনৌকে ৫৬ রানে হারিয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান আরো সুসংহত করলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গুজরাট।

আহমেদাবাদে এদিন টসের সময়ই হয়ে গেল একটি রেকর্ড। আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম দুই দলের অধিনায়ক হিসেবে টস করতে নামলেন দুই ভাই। তবে টস পর্বে বড় ভাইয়ের কাছে হারলেও শেষ হাসিটা ঠিকই হাসলেন গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া।

ঋদ্ধিমান সাহা আর শুবমান গিলের ১৪২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ২২৭ রানের বিশাল সংগ্রহের পর লখনৌকে ৫৬ রানে হারিয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান আরো সুসংহত করলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গুজরাট।

টস হেরে ব্যাট করে নেমে লখনৌ বোলারদের হতাশার এক দিনই উপহার দেন গুজরাটের দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুবমান গিল। মাত্র ৭৩ বলে ১৪২ রানের বিশাল ওপেনিং জুটিতে গুজরাটের জয়ের ভিত মূলত গড়ে দেন তারাই। টুর্নামেন্ট জুড়েই দুর্দান্ত খেলা গিল তাঁর ফর্ম ধরে রাখলেন আরো একবার। তবে অন্য প্রান্তে ঋদ্ধিমান ছিলেন গিলের চেয়েও বেশি আক্রমণাত্মক।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাওয়ার প্লের ব্যবহারটা যে খুব ভালোই জানেন সাহা তা তিনি দেখালেন আরো একবার। তবে ক্যারিয়ারের জুড়েই সাহার যে আক্ষেপ ছিল ইনিংস বড় করতে না পারার সেই দুর্নামও ঘোচালেন তিনি৷ ৪৩ বলে চারটি ছক্কা ও দশ চারে ৮১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন এই উইকেট রক্ষক। গুজরাটের ওপেনিং জুটি ভাঙে ১৩তম ওভারে আভেশ খানের বলে সাহা আউট হলে।

অন্যপ্রান্তে কম যাননি শুবমান গিলও। ৫১ নলে সাত ছক্কা ও দুই চারে ৯৪ রানে শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন গিল। সাথে অধিনায়ক হার্দিকের ১৫ বলে ২৫ ও ডেভিড মিলারের ১২ বলে ২১ রানের ক্যামিওতে ২২৭ রানের পাহাড়ে চড়ে গুজরাট।

মূলত ডি ককের ব্যাকআপ হিসেবেই লখনৌ দলে সুযোগ পেয়েছিলেন কাইল মায়ার্স। কিন্তু সেই মায়ার্সের কারণে টানা নয় ম্যাচ একাদশের বাইরে থাকতে হয়েছে ডি ককের। এবার অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের ইনজুরির কারণে ওপেনিং পজিশনে জায়গা খালি হবার কারণে একাদশে জায়গা পেয়েই দলের সর্বোচ্চ স্কোরার ডি কক। গুজরাটের মত লখনৌর উদ্বোধনী জুটিও হলো দুর্দান্ত।

ডি কক-মায়ার্সের ৮৮ রানের পার্টনারশিপ ভাঙে ৪৮ রান করা মায়ার্স রশিদ খানের দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে আউট হলে। এরপর ডি কক একপ্রান্তে টিকে থাকলেও ২২৮ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে রান রেটের সাথে পাল্লা দিয়ে ব্যাটিং করতে পারেনি লখনৌ। শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ৭০ রান করে রশিদ খানের শিকার হন ডি কক। ওপেনিং জুটির পর আর গতি না পাওয়া লখনৌর ইনিংস থামে সাত উইকেটে ১৭১ রানে।

৫৬ রানে হেরে ১১ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনেই রইলো লখনৌ। সমান ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থানেই আছে গুজরাট টাইটান্স।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...