আর্লিং হাল্যান্ড – পুরাদস্তুর গোলস্কোরার, অথচ তিনিই একটানা তিন ম্যাচ গোল করতে পারলেন না ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। আর্সেনালের বিপক্ষে জালের দেখা পেলেও তাঁকে রুখে দিতে পেরেছে নিউক্যাসেল, ফুলহ্যাম আর উলভস। তবে সেটার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারলো না সাউদাম্পটন; অবিশ্বাস্য ফিনিশিংয়ে গোল আদায় করে নিয়েছেন তিনি।
আর এই স্ট্রাইকারের সেই গোলটাই শেষমেশ ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারক হয়ে রইলো। চার মিনিটের সময় পাওয়া গোলেই ১-০ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। এমন কষ্টার্জিত জয়ে আপাতত পয়েন্ট টেবিলের শিষ্যে উঠে এসেছে তাঁরা।
এ নিয়ে হাল্যান্ড চলতি প্রিমিয়ার লিগে করেছেন এগারো গোল। আর কারো এতগুলো গোল তো দূরে থাক, গোল আর অ্যাসিস্ট মিলিয়েও এগারো সংখ্যাটা ছাড়িয়ে যেতে পারেনি কেউই। যদিও আরেক তরুণ তুর্কি কোল পালমার ছয় গোল এবং পাঁচ অ্যাসিস্টের সাহায্যে তাঁকে ছুঁতে পেরেছেন। তবে দ্বিতীয় গোলদাতার সঙ্গে এখনো তিন গোলের ব্যবধান আছে হাল্যান্ডের।
যদিও ভাগ্য সহায় হলে আরো গোল পেতেন এই তারকা, ম্যাচের বাকি অংশে অন্তত দুইবার গোল পাওয়ার খুব কাছাকাছি ছিলেন তিনি। কিন্তু ফাইনাল টাচ মনমতো না হওয়ায় হাতছাড়া হয়েছে সুযোগ। সবমিলিয়ে আটটা শট নিয়েছেন তিনি, যার মধ্যে কেবল চারটা ছিল অন টার্গেট। অবশ্য তাঁর সতীর্থরাও পারেনি গোলমুখে তীক্ষ্ণ হয়ে উঠতে, ফিল ফোডেন কিংবা স্যাভিনহো কেউই অ্যারন রামসডেলেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারেননি।
সিটি ফরোয়ার্ডদের ম্লান দিনে সাউদাম্পটন পেয়েছিল ম্যাচে ফেরার সুযোগ। বিরতির ঠিক আগে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়ে যান ক্যামেরন আর্চার, খানিকটা এগিয়ে তিনি এডারসনের বিপক্ষে ওয়ান ভি ওয়ান পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু তাঁর শট উপরের গোলবারে বাঁধা পেলে নষ্ট হয় সুবর্ন সুযোগ – সেই গোলটা হলে হয়তো ইতিহাসে ভিন্ন কিছু হতে পারতো।
এ নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ৩২ ম্যাচ অপরাজিত সিটিজেনরা, অন্যদিকে সাউদাম্পটন জয়ের দেখা পায়নি টানা ২২ ম্যাচ। প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে কেবল ডার্বি কাউন্ট (৩২ ম্যাচ) এবং সুন্দারল্যান্ড (২৬ ম্যাচ) জয়হীন ছিল।