সবশেষ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) হার্দিক পান্ডিয়ার জন্য স্রেফ একটা দুঃস্বপ্ন ছিল। ব্যাটার, বোলার কিংবা অধিনায়ক কোন পরিচয়েই তিনি স্বস্তির খোঁজ পাননি পুরো টুর্নামেন্টে। ঘরের মাঠ বা প্রতিপক্ষের, দর্শকরাও এক তালে দুয়োধ্বনি দিয়েছে তাঁকে – মচকালেও অবশ্য ভেঙে পড়েননি তিনি, বিশ্বকাপে ভারতের জার্সি গায়ে উঠতেই নিজেকে চিনিয়েছেন নতুন করে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে রীতিমতো তান্ডব চালিয়েছেন এই ডানহাতি। মাত্র ২৭ বলে ৫০ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। ছয় নম্বর ব্যাটার হিসেবে যেই দায়িত্ব তাঁর পালন করার কথা, ঠিক সেটাই শতভাগ নিখুঁত উপায়ে করেছেন তিনি।
ঋষাভ পান্তের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন এই অলরাউন্ডার, শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন এদিন। শেখ মেহেদীর টানা দুই বলে দুই চার ও ছয় হাঁকিয়ে বিধ্বংসী হয়ে উঠার বার্তা দেন তিনি। মাঝের ওভারে সুরিয়া, পান্ত দ্রুত ফিরলেও দল পথ হারায়নি তাঁর কল্যাণে।
পরের গল্পটুকু শুধুই তাঁর; তানজিম সাকিব, মুস্তাফিজ কিংবা রিশাদ কেউই বাদ যায়নি হার্দিকের তান্ডব থেকে। বিশেষ করে ফিজের শেষ ওভারে যেভাবে বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং করেছেন তিনি, সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। প্রত্যাশার চেয়ে অন্তত বিশ রান বাড়তি যোগ করেছেন তিনি।
অবশ্য এবারের বিশ্বকাপে প্রতি ম্যাচেই কোন না কোনভাবে অবদান রাখছেন এই তারকা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বল হাতে তিন উইকেট শিকারের পর পাকিস্তানের বিপক্ষেও নিয়েছেন দুই খানা। সুপার এইটে আফগানিস্তান ম্যাচে উইকেট না পেলেও ব্যাটিংয়ে করেছিলেন মূল্যবান ৩২ রান।
ভারতীয় একাদশের মেরুদণ্ড বলা যায় পান্ডিয়াকে, তাঁর কারণেই টিম ম্যানেজম্যান্ট চাইলে বাড়তি পেসার কিংবা বাড়তি স্পিনার অনায়াসে খেলাতে পারে। তাই তো তাঁকে সেরা ছন্দে ফিরতে দেখাটা ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ – এখন কেবল বাকি পথটুকু হাঁটা বাকি।