হঠাতই উত্তপ্ত ভারতের ক্রিকেট পাড়া। হইচই লেগে গিয়েছে বর্তমান নির্বাচক চেতন শর্মার বেশ কিছু কথায়।
ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল ‘জি নিউজ’ সম্প্রতি ‘স্টিং অপারেশন’ নামের একটি অনুষ্ঠান শুরু করেছে। সেখানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন সাবেক পেসার, বর্তমানে প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা। আর সে অনুষ্ঠানেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
বিরাট-গাঙ্গুলির দ্বন্দ্ব থেকে শুরু করে ভারতীয় ক্রিকেটারদের ইনজেকশন নিয়ে ফিটনেস টেস্ট উতরানো, বিরাট-রোহিতের ইগোর লড়াই, বুমরাহর ইনজুরি গোপন করা- কোনো কিছুই বলতে বাদ রাখেননি চেতন শর্মা।
সেই ধারাবাহিকতায় তিনি টেনে এনেছেন হার্দিক পান্ডিয়া, রোহিত শর্মারও নাম। ভারতের এ দুই অধিনায়কের সাথে প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মার বেশ সুসম্পর্ক। তাঁর বাড়িতে দুজনেরই নিয়মিত যাতায়াত আছে। এমনটাই জানিয়েছেন স্বয়ং চেতন শর্মা।
তবে, সবচেয়ে আস্থাভাজন উল্লেখ করে চেতন শর্মা আলাদা করে হার্দিক পান্ডিয়ার নাম টেনেছেন। তিনি মনে করেন, ভারতের অধিনায়ক হওয়ার সব রসদ পান্ডিয়ার মাঝে আছে। তাঁর মতে বোর্ড ও নির্বাচকদের মন জুগিয়ে চলতে জানেন পান্ডিয়া।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ও এখন টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করছে। রোহিত শর্মার সাময়িক অনুপস্থিতিতে অধিনায়ক হার্দিকের কাছে গেলেও আমার মনে হয় ও স্থায়ী অধিনায়ক হয়ে যাবে। অধিনায়ক হিসেবে এই ফরম্যাটে রোহিতের আর ফেরার সুযোগ দেখছি না।’
হার্দিক পান্ডিয়ার প্রশংসা করে তিনি আরো বলেন, ‘হার্দিক নিজের দলের ব্যাপারে দারুণ সচেতন। আর ও আমাকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে। একই ব্যাপারে, রোহিত শর্মাও আমার পাশে থাকে। মূলত ওদের সাথে টিম ম্যানেজমেন্টের বোঝাপড়া ভাল।’
চেতন শর্মা অবশ্য রোহিত-কোহলির কথা বলতে গিয়ে টেনে এনেছেন বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব হারানোর গল্পও। তখনকার বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি ঠিক বিরাট কোহলিকে পছন্দ করতে পারেননি। তবে সে সময়ে যা হয়েছে আলোচনার মাধ্যমেই – এমনটাই জানিয়েছেন চেতন শর্মা।
তবে বিরাট কোহলি সম্পর্কে সবচেয়ে বিস্ফোরক যে মন্তব্যটি এসেছে সেটি হলো, বিরাট দলের চেয়ে নিজেকে বড় ভাবতে শুরু করেছিল। আর সেটির কারণে ম্যানেজমেন্টের সাথে তাঁর এক ধরনের দূরত্বতা তৈরি হয়েছিল।
চেতন শর্মা স্টিং অপারেশনে ভারতের আরেক নামী পেসারকেও ছাড় দেননি। জাসপ্রিত বুমরাহকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘সে তাঁর ইনজুরি গোপন করে বিশ্বকাপ খেলতে চেয়েছিল। আর মাঝে যে কয়টা সিরিজে ম্যাচ খেলেছিল সে ম্যাচগুলোতে ও নিজের ইনজুরি লুকিয়েছিল। সে সময় এই কাজটা না করলে আমরা বোধহয় এতদিনে বুমরাহকে মাঠে ফিরতে দেখতাম।’