বিচিত্র এক চরিত্র হার্দিক পান্ডিয়া। কখনো তাকে মনে হবে ভিলেন, কখনো আবার হিরো হয়ে সামনে চলে আসবেন তিনি। তবে ক্রিকেট ময়দানে তিনি বরাবরই প্রতাপশালী এক সেনানি। ব্যক্তিগত জীবনে ঝড় বয়ে গেলেও সবুজ গালিচায় তিনি প্রতিপক্ষের দূর্গে চালান ধ্বংসলীলা।
ক্রিকেটা ক্যারিয়ার উত্থান-পতন আর ইনজুরি। সবটুকুই দেখেছেন তিনি। উদ্ভট মন্তব্য করে গোটা ভারতের রোষানলে পড়েছেন তিনি। বিমর্ষ হয়ে পড়ার কথা ছিল তার। হয়েছিলেন হয়ত। যেদিকে যাচ্ছেন সমালোচনা তাকে ঘিরে ধরেছে। তবুও ঝড়ের দিনে তালগাছের মত দাঁড়িয়ে ছিলেন।
বিতর্ক অবশ্য নিত্যদিনের ঘটনা। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে যখন তিনি ফিরলেন অধিনায়ক হয়ে, তখনও তাকে শুনতে হয়েছে বহু কটু কথা। রোহিত শর্মার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি। তবুও টলানো যায়নি হার্দিককে। মাঠে নিজের পারফরমেন্সের দিকেই ছিল তার পূর্ণ মনোযোগ।
সীমানা রেখা পেরিয়ে সবুজের সাথে মিশে যাওয়া মাত্রই বাইরের সবকিছু তুচ্ছ। বিষয়টি বেশ ভাল করেই জানা হার্দিকের। তিনি জানেন কেবল পারফরমেন্সই বদলে দিতে পারে বাইরে চলতে থাকা কথার প্রবল হাওয়া। নিজের সামর্থ্য সম্পর্কেও তিনি জানেন। নিজের সক্ষমতা সম্পর্কেও অবগত তিনি।
হার্দিক জানেন নিজ হাতে ম্যাচের পাল্লা নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসার ক্ষমতা রয়েছে তার। সে কাজটা ভারতের জার্সিতে নিয়ম করে করে যাচ্ছেন ডানহাতি এই অলরাউন্ডার। ক্রমশ নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন অনন্য উচ্চতায়। তিন ফরম্যাটে খেলতে তিনি পারছেন না। সে জন্যে অবশ্য ইনজুরি প্রবণতা দায়ী। তবে তিন ফরম্যাটে খেললে হয়ত সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জোর দাবি জানাতেন।
সেসব নিয়ে খুব একটা মাথাব্যথা হার্দিকের নেই। তিনি ভারতের নীল জার্সি গায়ে মাঠে নামেন একটা লক্ষ্য নিয়ে। দলের জয়ে শতভাগ নিঙড়ে দিতে চান। ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ফিল্ডিং- তিন ডিপার্টমেন্টেই অনবদ্য তিনি। এমন একজন খেলোয়াড় প্রতিপক্ষের জন্যে ঈর্ষার কারণ আর ভারতের জন্যে আশির্বাদ।